ব্রেকিং নিউজ

6/recent/ticker-posts

জঙ্গী সংগঠন কেএলও এর শক্তি বাড়ছে, সাহায্য করছে আলফা

 


বিশেষ প্রতিনিধি : নতুন অ্যাকশন স্কোয়াড তৈরি করছে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন ওরফে কেএলও। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কেএলও চিফ জীবন সিংহ নিজে ৫০ জনের ওই অ্যাকশন স্কোয়াডের নেতৃত্ব দেবেন। স্কোয়াড তৈরির জন্য সাহায্য করছে আরও দুই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম বা আলফা (স্বাধীন) এবং মুসলিম ইউনাইটেড লিবারেশন টাইগারস অফ অসম (মুলটা)।


সূত্রের খবর , তিন সংগঠনের একটি কোঅর্ডিনেশন কমিটিও তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি অলফার কমান্ডার ইন চিফ পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে মায়ানমারে দুই দফায় বৈঠক করেছেন কেএলও জীবন সিংহ।


২১ এপ্রিল অসমের শিবসাগর থেকে ওএনজিসির তিন ইঞ্জিনিয়ারকে অপহরণ করে মায়ানমারে নিয়ে গিয়েছিল আলফা। নাগাল্যান্ডের ইন্দো-মায়ানমার বর্ডার থেকে পরবর্তী সময়ে তাঁদের উদ্ধার করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা কেএলওর নতুন অ্যাকশন স্কোয়াডের খবর পেয়েছেন। আলফা দমনে নিযুক্ত অসম রাইফেলসের স্পেশাল ফোর্সের কাছেও ওই সংক্রান্ত তথ্য পৌঁছেছে। অসম রাইফেলস সূত্রে খবর, বঙ্গাইগাঁও, কোকরাঝাড় ও ধুবড়ি থেকে ১০ জনেরও বেশি নতুন সদস্য কেএলও স্কোয়াডের প্রশিক্ষণের জন্য গোপন ডেরায় গিয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকেও কয়েকজন প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তবে উত্তরবঙ্গের কোন জেলা থেকে সদস্যরা জঙ্গি শিবিরে যোগ দিয়েছে তা এখনও জানতে পারেননি গোয়েন্দা দপ্তর।


কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, মায়ানমার ও বাংলাদেশের দুটি শিবিরে অ্যাকশন স্কোয়াডের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। দুটি শিবিরই আলফাদের। দুই শিবিরে ২০ জনেরও বেশি কেএলও জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। মুলটা ও আলফার প্রশিক্ষক ছাড়াও নাগা জঙ্গি সংগঠন এনএসসিএন (খাপলাং)-এর প্রশিক্ষকও কেএলও অ্যাকশন স্কোয়াডের তদারকি করছে। স্কোয়াডের সদস্যদের সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সেটাই গোয়েন্দাদের উদ্বেগ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তান ও চিনের প্রশিক্ষকরা সাইবার ট্রেনিংয়ের কাজে যুক্ত আছে বলেই খবর। অস্ত্র প্রশিক্ষণ, বিস্ফোরক তৈরির পাশাপাশি জঙ্গিরা যদি সাইবার ক্রাইমে পারদর্শী হয়ে ওঠে তাহলে তাদের সঙ্গে পেরে ওঠা যে আরও দুষ্কর হবে সেটা ভালোই বুঝতে পারছেন গোয়েন্দাকর্তারা।


আর্থিক সংকটের ফলে মাঝে সংগঠন পরিচালনায় হিমসিম খাচ্ছিল কেএলও নেতৃত্ব। নতুন স্কোয়াড তৈরি, প্রশিক্ষণ, তাদের অস্ত্র কেনা এইসব কাজে প্রচুর অর্থ দরকার। হঠাত্ করে কেএলওর হাতে এত অর্থ কোথা থেকে এল তা এখন ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। অস্ত্রের হাতবদল, নেশার সামগ্রী, গোরু পাচারের ভাগ থেকে ইদানিং বড় অঙ্কের টাকা কেএলওর হাতে গিয়েছে কি না, সেটাও খোঁজ নিচ্ছেন গোয়েন্দারা।

Post a Comment

0 Comments