ব্রেকিং নিউজ

6/recent/ticker-posts

গঙ্গাজলে শুদ্ধিকরণ করে দলে নেওয়া হল বিজেপি কর্মী সমর্থকদের


নিজস্ব সংবাদদাতা, রামপুরহাট, ১৮ জুন ঃ এবার গঙ্গাজল ছড়িয়ে শুদ্ধিকরণ করা হল বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। তারপরেই তাদের নেওয়া হল তৃণমূলে। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। দলকে অন্ধকারে রেখে এসব করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি থেকে অঞ্চল সভাপতির।

ভোটের পর থেকে দলবদল অব্যাহত বীরভূম জেলায়। কখনও মাইকিং করে আবার কখনও ধর্নার মাধ্যমে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দলে নেওয়া হচ্ছিল। এবার সেই ধারাবাহিকতার বাইরে বেরিয়ে গঙ্গাজল ছড়িয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের শুদ্ধিকরণ করে দলে নেওয়া হল সাঁইথিয়ার বনগ্রামে।

শুক্রবার সকালে সাঁইথিয়া ব্লকের তৃণমূলের বনগ্রাম অঞ্চল অফিসের সামনে ধর্নায় বসে বিজেপির ৬২ পরিবার। ঘণ্টা দুয়েক ধর্না চলার পর তাদের গায়ে গঙ্গাজল ছড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে নেওয়া হয়। দলত্যাগী বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বনগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তুষার কান্তি মণ্ডল।

একজন পঞ্চায়েত প্রধান ব্লক নেতৃত্বকে অন্ধকারে রেখে কীভাবে যোগদান করাতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কুবের মণ্ডল বলেন, “যোগদানের খবর আমার জানা নেই। প্রধান নিজের দুর্নীতি ঢাকতে এসব নাটক করছে”।

দলের ব্লক সভাপতি সাবের আলি খান বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে প্রধানের এলাকায় তৃণমূলের পরাজয় হয়েছিল। এনিয়ে দলের জেলা সভাপতি প্রধানের উপর ক্ষুব্ধ। এমনকি তাঁকে বোলপুরে তলব করা হয়েছিল। কয়েকদিনের মধ্যে উনাকে সরিয়েও দেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। তাই এখন ব্লক নেতৃত্বকে না জানিয়ে এসব করছে। এতে দলের কোন অনুমোদন নেই”।

তুষার কান্তি মণ্ডল বলেন, “আমি বোলপুরে গিয়ে জেলা সভাপতির সঙ্গে দেখা করে এসেছি। উনার নির্দেশে আমি বিজেপির যারা দলে আসতে চায় তাদের হাতে পতাকা তুলে দিচ্ছি। তাতে কে কি বলল তা দেখে আমার লাভ নেই”।

বিজেপি নেতা দিলীপ মণ্ডল বলেন, “কারা তৃণমূলে ঢুকল আমার জানা নেই। তৃণমূল এখন সংবাদমাধ্যমকে ডেকে নাটক করছে”। 

Post a Comment

0 Comments