ব্রেকিং নিউজ

6/recent/ticker-posts

বিশ্ব প্রবীণ নির্যাতন সচেতনতা দিবস

 


২০০৬ সালে প্রথম সারা বিশ্বে অগণিত প্রবীণের শান্তি, সুখ, মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্ব প্রবীণ নির্যাতন সচেতনতা দিবস (World Elder Abuse Awareness Day) পালন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।     এরপর জাতিসংঘ ২০১১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রস্তাবটি গ্রহণ করে এবং তারপর থেকে ১৫ ই জুন দিনটি প্রবীণদের উদ্দেশ্যে পালিত হয়ে আসছে (World Elder Abuse Awareness Day)। 


কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যে বিশ্বের সব দেশ এই দিনটিকে এখন পর্যন্ত যথাযথ গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে উঠতে পারেনি।  এই দিনটির উদ্দেশ্য হলো সমাজের প্রবীণদের সঙ্গে শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক নির্যাতন, দুর্ব্যবহার এবং তাদের অস্বীকার করা বন্ধ করা। এর পাশাপাশি এই সম্পর্কে জনমত গঠন করে জনগণকে সচেতন করে তোলাটাও বিশেষ জরুরি (value education)। এই বিষয়ে সম্প্রতি এক সমীক্ষা করা হয় যেখানে দেখা যায় যে গত বছর ভারতে লক ডাউনে (lockdown) প্রবীণদের উপর নানা প্রকার অত্যাচার বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৭৩%। 


এছাড়াও সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল জানাচ্ছে যে অংশগ্রহণকারী ৫০০০ জন প্রবীণদের মধ্যে ৮২% সহমত পোষণ করেছেন যে তারা প্যান্ডেমিক (pandemic) পরিস্থিতিতে তাদের জীবনে নানারকম পরিবর্তন এসেছে। মূলত ডিজিটাল যুগে (digitalization) শিল্পায়ন, নগরায়ন ও বিশ্বায়নের ফলে আমাদের সাংস্কৃতিক ও পরম্পরাগত ঐতিহ্য পাল্টাচ্ছে।  নিউক্লিয়ার পরিবারের ভাবনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। উচ্চ অট্টালিকা গড়ে উঠছে। প্রাত্যহিক ক্রিয়াকর্ম সবই পরিচালিত হচ্ছে প্রযুক্তির দ্বারা (digitalization)। ফলে পরিবার ও সমাজ থেকে একপ্রকার কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধরা।  


২০২১ সালের বিশ্ব প্রবীণ নির্যাতন সচেতনতা দিবসের মূল ভাবনা হলো “ন্যায় লাভ”। যেসব প্রবীণরা নানারকম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, তারা অনেকেই অনেক সময় ন্যায়বিচার পেতে গিয়ে তার সঙ্গে যুক্ত কিছু বিষয়ে সমস্যার মুখে পড়ছেন। সেগুলি হলো বিচার পাওয়ার ব্যবস্থায় তাদের সামর্থ্য, নিয়ম সম্পর্কে শিক্ষার অভাব, লিঙ্গগত বৈষম্য, দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়া, বিচার পেতে দেরি হওয়া ইত্যাদি। সমাজে নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের (value education) চর্চা না বাড়াতে পারলে এই সমস্যা বাড়তে থাকবে বিশ্ব জুড়ে।

Post a Comment

0 Comments