ব্রেকিং নিউজ

6/recent/ticker-posts

কেন্দ্রের কর্পোরেট ঋণ মুকুবের পরিমাণ ৮.১৭ লক্ষ কোটি টাকা

 


বিশ্বরূপ দে  :   কেন্দ্র রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোতে যে পরিমান মূলধনের যোগান দিয়েছে, সেই অনুপাতে কর্পোরেট দুনিয়া থেকে অনাদায়ী ঋণ মুকুবের পরিমান ক্রমশ বেড়েই চলেছে । আর এই ফারাকটা প্রায় তিনগুন ।

রিজার্ভ ব্যাংকে দায়ের করা আরটিআই (রাইট টু ইনফরমেশন এক্ট) রিপোর্ট অনুসারে এমন তথ্যই সামনে এসেছে । আরো একটি চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো, নরেন্দ্র মোদির আমলে গত চার বছরে কর্পোরেট ঋণ মুকুবের হার সবচেয়ে অধিক । মোদি সরকার যে পরিমান মূলধন রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকে যোগান দিচ্ছে, তার প্রায় তিনগুন পরিমান কর্পোরেট ঋণ মুকুব করা হচ্ছে । সুতরাং বলাই বাহুল্য যে কর্পোরেট সংস্থাকে একপ্রকার ভর্তুকি বিলি করছে কেন্দ্র । ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে মূলধনের যোগান ছিল ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা । ওই একই সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের কর্পোরেট ঋণ মুকুব হয়েছে মোট মূলধন যোগানের প্রায় তিনগুন । ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ঋণ মুকুবের পরিমান ৮.১৭ লক্ষ কোটি টাকা । ২০১৮/১৯ সালে দেশে সর্বাধিক ঋণ মুকুব করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয় আরটিআই রিপোর্টে । সর্বাধিক মুলধন যোগানও সেই বছরেই হয় । রিজার্ভ ব্যাংক আরটিআই-এর জবাবে জানিয়েছে যে গত চার বছরে সর্বাধিক কর্পোরেট ঋণ মুকুব করা হয়েছে । ঋণ মুকুবের ফলে রেকর্ড হারে অনাদায়ী ঋণের পরিমান কমেছে । মোদি জমানায় কর্পোরেট ঋণের পরিমান ক্রমশ বাড়তে থাকায় ঋণের পরিমান কমতে থাকে । অন্যদিকে আবার রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের তুলনায় কর্পোরেট দুনিয়ার বেসরকারি ব্যাংকের অনাদায়ী ঋণ মুকুবের পরিমান খুবই কম । আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলো যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা নিয়ে থাকে । কিন্তু মোদি সরকারের নীতিতে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের ঋণ বিলি থেকে ঋণ মুকুবে কর্পোরেট আধিপত্য ক্রমশই বেড়ে চলায় আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে ব্যাংকগুলো । মোদি সরকার মহামারিতে প্রচুর বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল । কিন্তু মূলধনের অভাবে এবং তার সাথে ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় শিল্পে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের বিনিয়োগ ক্রমশই হ্রাস পেয়েছে ।

Post a Comment

0 Comments