শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না জুট ইন্ডাস্ট্রির একটি ওয়ার্কশপে এসে যা বললেন তাতে উপস্থিত প্রতিনিধিদের অনেককেই তিনি সন্তুষ্ট করতে পারলেন না। এই কারিগরি প্রশিক্ষণ ছিল পশ্চিমবঙ্গ শ্রম দপ্তর এর পক্ষ থেকে ভারতীয় জুট ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রমিক ঘাটতি মেটানোর একটি পুরনো প্রকল্পকে রাজ্যে চাঙ্গা করার কারণে ওয়ার্কশপ আলোচনা, যেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ শ্রম দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিক ও শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন প্রতিনিধিবৃন্দ। এই আলোচনায় বেচারাম বাবু বলেন দিনদিন শ্রমিক সংখ্যা কমে আসছে । এই ঘাটতি আমাদের মেটাতে হবে উপযুক্ত ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে তার জন্য আমরা যথোপযুক্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি শ্রমদপ্তর নতুন করে পাওয়ার পর আমরা দেখছি অন্যান্য শিল্পের সাথে পাল্লা দিয়ে জুট শিল্পেও যুবকরা নির্দিষ্ট ট্রেনিং নিয়ে খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেজিং এ জুট শিল্পের উন্নয়ন ঘটাবে আমরা সদাসর্বদা সেদিকে লক্ষ্য রেখেছি এবং প্রশিক্ষণ চলাকালীন যুবকদের উপযুক্ত পারিশ্রমিক দেওয়ার ব্যবস্থা করব। প্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তরে শ্রম মন্ত্রী বলেন এ ব্যাপারে ইউনিয়ান নেতানেত্রীদের সাথে আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। প্রশ্ন উঠেছে করোনা চলাকালীন এ ধরনের উদ্যোগ কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এবং বেচারাম বাবুর এই সমস্ত প্রতিশ্রুতি পালন কি আদৌ সম্ভব হবে। তবে প্রশ্ন থাকবে।
মন্ত্রী বেচারাম এও জানান আমাদের সব রকম বাধা অতিক্রম করে জুট ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি জানান প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে পশ্চিমবঙ্গের সাড়ে পাঁচ লক্ষ থেকে সাড়ে ছয় লক্ষ কর্মী যুবকের অন্নসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি আবার এই অনুস্ঠানে একথাও বলেন, আমরা নতুন করে লক্ষাধিক যুবকের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জুট ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়োগের ব্যবস্থা অতি সত্বর করব।
0 Comments