নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজ্যে করোনা সংক্রমনের হার কিছুটা হলেও নিম্নমুখী। এই বিষয়টা যেমন মানুষের স্বস্তির কারণ, তেমনি অস্বস্তির আরও একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর।
সম্প্রতি ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপে অনেকেরই ধুম জ্বর দেখা দিচ্ছে। তিন-চারদিন এই জ্বর থাকছে। সঙ্গে সর্দি-কাশি, গা হাত পা ব্যথা এবং মাথায় যন্ত্রণাও থাকছে। এই উপসর্গগুলো থাকলে মানুষ এই মুহূর্তে চিন্তায় পড়ে যান, করোণা সংক্রমণ হলো না তো? কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা যাচ্ছে করোণা সংক্রমণ হয়নি।
ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বরের প্রকোপ থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। যার কারণে চিন্তিত রাজ্যবাসী। করোণা মানুষের মধ্যে এমন আতঙ্ক তৈরি করেছে যে ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর হলেও তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে।
চিকিৎসকরাও এই মুহূর্তে ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বরের প্রকোপ ক্রমশ বাড়ায় চিন্তায় পড়েছেন । চিকিৎসকদের মতে, ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর হলে তিন চারদিন জ্বর থাকে। তাই জ্বরের চিকিৎসায়ই প্রকোপ সেরে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই বর্তমানে দেখা যাচ্ছে খুব জ্বর নিয়ে চিকিৎসার জন্য এলে এবং পরীক্ষা করলেও করোণা সংক্রমণ ধরা পড়ছে না। চিকিৎসকদের মতে, এক্ষেত্রে করোনার চিকিৎসা না করাই উচিত ।
চিকিৎসকরা আরও পরামর্শ দিয়েছেন, জ্বর হলে স্বাভাবিকভাবে জ্বরের ওষুধ খাওয়াই উচিত। তার সঙ্গে গলা ব্যথা থাকলে নিয়মিত গারগেল করতে হবে। নিয়মিত বেশি করে জল খেতে হবে। যদি এরকম ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর হয়েছে বলে মনে হয় তাহলে পরিবারের থেকে আলাদা থাকতে হবে। কারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
জ্বর সেরে যাওয়ার পরেও শরীরে দুর্বলতা থাকতে পারে। সে কারণে ভিটামিনযুক্ত খাবার এবং নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে।
0 Comments