নিজস্ব প্রতিবেদক, বোলপুর, আগস্ট ১৮: বিতর্কে বিশ্বভারতী। আবারও রাজনৈতিক রংলাগান অভিযুক্ত বিশ্বভারতী বর্তমান উপাচার্য এবং তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার থেকে তা শুরু হয়েছে রাজ্যে।
কেন্দ্রীয় নির্দেশমতো সেই যাত্রায় গোটা রাজ্যে ঘুরছেন বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শহীদ সম্মান যাত্রা বুধবার এসে পৌঁছয় বীরভূম জেলায়। পূর্ব বর্ধমান থেকে বীরভূম জেলাতে বিজেপির এই শহীদ সম্মান যাত্রার নেতৃত্ব দেন বিজেপি সংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।
পূর্ব বর্ধমান থেকে বীরভূম জেলায় ঢোকার মুখে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা শহীদ সম্মান যাত্রাকে কালো পতাকা দেখায় এবং গো ব্যাক শ্লোগান দেয় বলেও সূত্রের খবর।
এদিকে শহীদ সম্মান যাত্রায় আসা বিজেপি নেতৃত্বকে বিশ্বভারতীতে স্বাগত জানাতেই, উঠল প্রশ্ন। কিভাবে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গনকে ব্যবহার করতে দেওয়া হলো, সেই নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠল বিভিন্ন মহলে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে বিধানসভা নির্বাচনের পর 'রাজ্যে কেন বিজেপি পরাজিত হলো' এই বিষয়ে একটি আলোচনা সভার ডাক দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিভিন্ন সংবাদমধ্যমে সেই খবর প্রকাশিত এবং সম্প্রচারিত হওয়ার পরেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে সিদ্ধান্ত স্থগিতের নির্দেশ জারি করতে বাধ্য হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
বুধবার সেই একইভাবে বিশ্বভারতীর শিক্ষাঙ্গনকে বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে আবারো বিতর্কে জড়ালেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং তার সঙ্গীরা।
শুধু তাই নয় এ দিন বিশ্বভারতীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের পাশে দেখা গেল বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা এবং জেলায় বিজেপির একমাত্র বিধায়ক তথা বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি ও সহ-সভাপতি অনুপ সাহা সহ বিজেপির জেলা ও রাজ্য স্তরের প্রতিনিধিদের।
রাজনৈতিক করনের এই প্রচেষ্টাতেই সরব হয়েছেন সমস্ত মহল।
বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র মাঝারি ও বস্ত্র শিল্প দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, "এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের যে কবিগুরুর বিশ্বভারতীকে আজকে বিজেপি এবং আরএসএস তাদের আখড়া বানিয়ে তুলেছে, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মদতে। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করছি । ''
এদিকে বিশ্বভারতীর আজকের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। হাতেগোনা নিজেদের "পছন্দ মতো" গুটিকয়েক সংবাদমাধ্যমকে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া নিয়েও সাংবাদিকদের মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
0 Comments