ব্রেকিং নিউজ

6/recent/ticker-posts

কয়লাখনি গড়তে আদিবাসী ভাষায় প্যাকেজ ছাপিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন অনুব্রত

নিজস্ব প্রতিবেদক, বোলপুর, ১৪ নভেম্বর ঃ দেউচা–পাঁচামি প্রস্তাবিত কয়লাখনি নিয়ে কেউ মানুষকে ভুল বোঝালে জেলা শাসক কিংবা পুলিশ সুপারকে খবর দিন। আপনারা কিছু করতে যাবেন না। আপনারা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারের প্যাকেজের কাগজ তুলে দেন।

                                       

রবিবার বোলপুরের গীতাঞ্জলীতে দলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে এভাবেই কয়লাখনি নিয়ে বার্তা দিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেই সঙ্গে সব রাস্তায় যেন বালির গাড়ি না যায় সে সম্পর্কে সতর্ক করে দেন দলের নেতাদের। ব্লক ও অঞ্চল সভাপতিদের মধ্যে সম্বনয়ের অভাব নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এদিনের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার, রামপুরহাট বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ও বস্ত্রমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা সহ অধিকাংশ বিধায়ক। ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি থেকে অঞ্চল সভাপতিরা। সভায় প্রথমেই কয়েকজন নেতার নাম করে তাদের সতর্ক করে দেন। মহম্মদবাজার এলাকায় বালির গাড়ি নিয়ন্ত্রণ নিয়েও সতর্ক করেন তিনি। ব্লক সভাপতির উদ্দেশ্যে বলেন, “রাস্তা মেরামত করতে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ওই রাস্তায় পয়সা নিয়ে বালির গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া যাবে না”।

                                       

এরপর প্রস্তাবিট কয়লাখনি প্রসঙ্গ তুলে অনুব্রত বলেন, “কয়লাখনি হলে বীরভূমের উন্নয়ন হবে। এক লক্ষ বেকার ছেলেমেয়ে চাকরি পাবে। কেউ কেউ আদিবাসীদের ভুল বোঝাচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করে জেলা শাসক কিংবা পুলিশ সুপারকে জানান। কারণ মুখ্যমন্ত্রী জমি মালিকদের ১৩ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা বিঘে করে দাম দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। যে জমির বর্তমান দাম দেড়-দু লক্ষ টাকা। এছাড়া আদিবাসীদের আসবাবপত্র অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য এক লক্ষ টাকা দিচ্ছে। জমি দাতাদের চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সরকার। আদিবাসীদের বিষয়টি বোঝাতে আমরা তাদের ভাষাতেই  প্যাকেজ ছাপিয়েছি। আমাদের দলের লোকজন ওই কাগজ আদিবাসীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবে। দেখতে হবে কেউ যেন আদিবাসীদের ভুল বোঝাতে না পারে”।

এদিন মঞ্চ থেকে বর্ধমানের আউসগ্রামে দলীয় নেতা খুনে অভিযুক্ত ছয় দলীয় কর্মীকে বহিস্কারের কথা ঘোষণা করেন অনুব্রত। চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর দুষ্কৃতীরা তাকে গুলি করে খুন করে। তদন্তে নেমে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেফতার করে। তাঁরা সকলেই তৃণমূল কর্মী বলে জানা যায়। এরপরেই তাদের বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয় দল।

Post a Comment

0 Comments