সন্ত্রাস করে ভোট লুঠ হলে প্রতিক্রিয়া জানাবে বিজেপির কর্মীরা - শুভেন্দু অধিকারি
বিশ্বরূপ দে : কলকাতার পুর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজক মন্তব্য করলেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি । তিনি বলেন যে নির্বাচনের দিন ভোটারদের স্বেচ্ছায় ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটদানে বাধা দিয়ে শাসকদল তৃনমূল যদি ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন কোনরকম বিঘ্ন, গন্ডগোল বা সন্ত্রাস করে ভোট লুঠ করে, তাহলে তা রুখতে এমনকি পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত বিজেপির দলীয় কর্মীরা । শুভেন্দু অধিকারির এই মন্তব্যের পরই কলকাতা তথা সমগ্র রাজ্যজুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় । নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কাছ থেকে এধরনের মন্তব্য কখনোই কাম্য নয় বলেই মনে করছেন সাশকদল ও অন্যান্য বিরোধীরা । তাঁর এই মন্তব্যকে উষ্কানীমূলক মন্তব্য বলে জানিয়েছেন শাসকদলের নেতৃবৃন্দ ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ, পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি । কিন্তু সুপ্রীম কোর্ট সেই মামলা রাজ্যের হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেয় । মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ রায়দানে বলেন,"বিজেপির চারজন প্রার্থীর অভিযোগ যে তাদের নাকি প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে । এই বিষয়ে পুলিশি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন আছে । তবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পুর নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রতিটা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একজন করে স্বশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন থাকছে । রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল ও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্যের ওপর নির্ভর করে অনুমান করা হচ্ছে যে শান্তিপূর্ণ পুর নির্বাচন সম্পন্ন করতে এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই"। আর এতেই বেজায় চটেছেন শুভেন্দু অধিকারি ।
হাইকোর্টের এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতেই মাননীয় শুভেন্দু অধিকারি বলেন,"রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব দিয়েছে হাইকোর্ট । পুলিশ বা সিভিক ভলান্টিয়ার যাই হোক না কেন, অবাধ নির্বাচন করানোর দায়িত্ব এখন তাদের । তবে এটা পরিষ্কার বুঝতে পারছি যে তাদের দ্বারা একাজ সম্ভব নয় । সন্ত্রাস করে যদি মানুষের ভোটদানে বাধার সৃষ্টি করা হয়, ভোট লুঠ করা হয় বা কোন মানুষ বা আমাদের কর্মীরা যদি আক্রান্ত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব ও প্রতিক্রিয়া জানাতে আমাদের কর্মীরাও সবদিক থেকে প্রস্তুত"।
0 Comments