ব্রেকিং নিউজ

6/recent/ticker-posts

মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছে - মমতা

 শাসকদলের নির্বাচনী সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এককাট্টা বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি

বিশ্বরূপ দে  :    কলকাতা পৌরসভা নির্বাচনের দিন একদিকে যখন পুলিশ-প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের নাকের ডগায় বোমাবাজি থেকে শুরু করে, বুথ জ্যাম, ভোট লুঠ, বিরোধী দলের এজেন্টদের মারধোরের মতো ঘটনায় উত্তপ্ত ভোটের আবহাওয়া এবং রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কেন্দ্রে বিরোধীদের অবস্থান ও বিক্ষোভ চলছে, ঠিক তখনই অপরদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা শাসকদলের "তথাকথিত" সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় বললেন,"কলকাতার প্রত্যেক নাগরিক উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছেন"। তাঁর এই কথায় রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা । দিনের আলোয় যেখানে সকাল থেকেই মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরনের কুৎসিত প্রক্রিয়া চললো, সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে কেউই মেনে নিতে পারছেন না । 

  "শিয়ালদা ও বেলেঘাটায় বোমাবাজি, টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে বোমায় দুজন আহত, ছাপ্পা ভোট, বিজেপির মহিলা প্রার্থী মিনাদেবী পুরোহিতকে হেনস্থা, বেলেঘাটার ৩৬নং ওয়ার্ডের একটি ভোটকেন্দ্রের সিসিটিভি কাগজ দিয়ে ঢেকে দেওয়া, ৭৫নং ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী কমরেড ফাইয়াজ আহমেদ খান সহ বামফ্রন্টের একাধিক প্রার্থীদের ওপর শারীরিক আক্রমন, বিরোধী পোলিং এজেন্টদের মারধোর দিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া -- এসব যখন হচ্ছিল তখন কি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চোখে আর কানে এটুলি দিয়ে রেখেছিলেন ?" - এই প্রশ্নই তুলছেন শহরের আমজনতা । 

  দিনভর ধরে চলতে থাকা এই উত্তেজনার পর বেলাশেষে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে আগামীদিনে বিরোধীদের শক্তিশালী করবে । আর তার নিদর্শন পাওয়া গেল ১৯ তারিখেই । শাসকদলের এই সন্ত্রাসের প্রতিবাদে সিপিআইএম, কংগ্রেস ও বিজেপি একসাথে অবস্থান-বিক্ষোভ ও ধর্ণায় বসলো বড়তলা থানার সামনে । ছাপ্পা ভোটের প্রতিবাদে কলকাতা পুরসভার ২/৮/৯/১৭/১৮/১৯/২০/৫৯/৭১/৭৩/৭৫/১০১/১০২/১০৯ ও ১১০নং ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে সোমবার নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বামেরা । নীতি ও আদর্শগত অবস্থান থেকে একে অন্যের বিরোধী হলেও রাজ্যের শাসকদলের এই কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অন্যান্য বিরোধীরাও এবিষয়ে এককাট্টা হয়ে সমর্থন করেছে বামেদের ।

  তবে বিরোধীদের এসব কথার পাল্টা প্রতিক্রিয়া স্বরূপ তৃনমূল নেতা তথা সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেছেন যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করতে তৃণমূলী সন্ত্রাসের কোন প্রমাণ যদি থাকে, তাহলে তা নিয়ে অবশ্যই আদালতে যেতে পারেন বিরোধীরা । সেক্ষেত্রে দল নিশ্চই তার বা তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে । 

  অন্যদিকে ১৯ তারিখের পুর নির্বাচনকে "প্রহসন" বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী ।

Post a Comment

0 Comments