রাজনগর ফরেস্ট রেঞ্জের উদ্যোগে দুস্থ বনবাসী জনজীবনে সহায়তা প্রদান
বিশ্বরূপ দে : জঙ্গল সংলগ্ন দুস্থ ও অসহায় বনবাসী জনজীবনে সহায়তা প্রদান কর্মসূচি গ্রহণ করলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বন বিভাগ ।
৮ই জানুয়ারি ২০২২, শনিবার বীরভূম জেলা অন্তর্গত রাজনগর ফরেস্ট রেঞ্জের উদ্যোগে চন্দ্রপুর বিট অফিসে বীরভূম বন বিভাগের পক্ষ থেকে এবং স্বেচ্ছসেবী সংস্থা "অর্চি"-র সহযোগিতায় গরীব ও দুস্থ বনবাসী জনজীবনে সহায়তা প্রদান কর্মসূচির মাধ্যমে কম্বল ও শিশুদের নতুন বস্ত্র বিতরণ করা হয় ।
এর পাশাপাশি রাজনগর ফরেস্ট রেঞ্জ ও অর্চির যৌথ উদ্যোগে এদিন বিট অফিসেই এক মাসিক চিকিৎসা শিবিরেরও সূচনা করা হয় । এই শিবিরের মাধ্যমে বীরভূমের চন্দ্রপুর থানা এলাকা সংলগ্ন গ্রামীণ দুস্থ আদিবাসীদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয় । উক্ত শিবিরে অংশগ্রহণ করেন বহু আদিবাসী মানুষ ।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজনগর ফরেস্ট রেঞ্জার কুদরতে খোদা, বিট অফিসার বিক্রম পাখরিন, এডিএফও দেবরাজ সুর, ভবানীপুর বিট অফিসার মদন চন্দ্র গন ও ফরেস্ট গার্ড নূর আফসার আলি । এছাড়া সহযোগিতায় ছিলেন কিষান দাস, কল্যাণ মজুমদার, পিন্টু বাগদি, শাহরুখ শেখ, চিন্ময় সমন্ডল ও অন্যান্য বনকর্মীবৃন্দ । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিরূপে উপস্থিত ছিলেন রাজনগর ব্লক তৃনমূল সভাপতি সুকুমার সাধু ।
অরণ্যের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত আদিবাসীদের জীবন জীবিকা । অরণ্যকে রক্ষা করতে পারে একমাত্র অরণ্য সংলগ্ন মানুষ বা আদিবাসী সম্প্রদায় । অথচ বহু ক্ষেত্রে দেখা যায়, অন্ন-বস্ত্র ও চিকিৎসার ন্যূনতম অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে হয় তাদের । কিন্তু এটা প্রত্যেকের ভাবা উচিত যে জঙ্গল সংলগ্ন মানুষ বা এইসব আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ ভালো থাকলে তবেই সুরক্ষিত থাকবে অরণ্য -- ভারসাম্য বজায় থাকবে বন্যপ্রাণের এবং সর্বপরি সুরক্ষিত থাকবে মানবসভ্যতা । আর এই ভাবনা থেকেই রাজনগর ফরেস্ট রেঞ্জ অন্তর্গত দুস্থ ও অসহায় আদিবাসী মানুষদের সহায়তা প্রদানের উদ্যেগ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছেন রাজনগর ফরেস্ট রেঞ্জের বিট অফিসার বিক্রম পাখরিন । বন বিভাগের এই উদ্যোগে স্বভাবতই খুশি অসহায় গ্রামীণ মানুষ ।
0 Comments