দুর্গাপুর জাতীয় সড়ক অবরোধ বামেদের
বিশ্বরূপ দে : তৃনমূল গুন্ডাবাহিনীর ভোট লুঠের প্রতিবাদে সকাল থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে আসানসোলে ।
নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের প্ৰত্যক্ষ মদতেই তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাবাহিনী শান্তিপূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া বানচাল করতে সকাল থেকেই ভোটারদের ভয় দেখানো শুরু করে এবং দফায় দফায় ইচ্ছাকৃত গণ্ডগোল বাঁধিয়ে ভোট প্রক্রিয়া বিলম্ব ও বানচাল করে বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা । পুলিশের সামনেই তারা মানুষকে ভোটদানে নানাভাবে বাধা দেয় । নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি বলেই বিরোধীদের অভিযোগ ।
প্রশাসনের সামনে শাসক দলের এই লুম্পেন বাহিনীর অবাধ ভোট লুঠের প্রতিবাদে দীর্ঘক্ষনের জন্য দুর্গাপুর জি.টি. রোড অবরোধ করে রাখে বামেরা । ফলে যান চলাচল বিঘ্নিত হয় এবং চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ।
মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ভোটদানে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে তৃনমূল কর্মীদের দ্বারা আক্রান্ত হতে হয় বামেদের । এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ, বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর এবং আসানসোল - এই চারটি পৌরসভার নির্বাচন ছিল শনিবার । নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তির ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণই ছিল ভোটের আবহাওয়া । আদালতের নির্দেশ মেনেই প্রতিটা পৌরসভায় বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তা ও কোভিড নিয়ন্ত্রণ বিধির ব্যবস্থা করা হয় । সকাল থেকেই নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আসানসোল পৌরসভা । তৃনমূল ও সিপিএমের মধ্যে গন্ডগোলে আহত হন বেশ কয়েকজন । পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় বলে কমিশন সূত্রের খবর ।
অন্যদিকে বিধাননগরের প্রতিটা প্রবেশ দ্বারে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল । এখানকার অধিকাংশ বুথকেই আগে থেকে "স্পর্শকাতর" ঘোষণা করেছিল কমিশন ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ, এই চারটি পৌরসভায় মোট ২১৭টি ওয়ার্ড রয়েছে । তার মধ্যে আসানসোলের ওয়ার্ড সংখ্যাই ১০৬টি ।এছাড়া শিলিগুড়িতে ৪৭টি, বিধাননগরে ৪১টি এবং চন্দননগরে মোট ৩৩টি ওয়ার্ড । চারটি পৌরসভার মোট ভোটার ১৯ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৬২ জন ।
রাজ্যের অন্যান্য পৌরসভার নির্বাচনের ঘোষিত দিন ২৭শে ফেব্রুয়ারি ।
0 Comments