রাজ্য কমিটির নতুন মুখের ছাত্রযুব নেতৃত্বই শাসকের ঘুম কেড়ে নেবে
বিশ্বরূপ দে : সম্প্রতি আক্ষরিক অর্থে "সফলতা"র সাথেই সমাপ্ত হয়েছে সিপিআইএমের ২৬ তম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্মেলন । নব নির্বাচিত হয়ে রাজ্য কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন কমরেড মহঃ সেলিম । দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল এবং কেন্দ্রের ক্ষমতাধীন বিজেপির বিরুদ্ধে বাম গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তাদের দিনরাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ, সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে রাজ্য কমিটির আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে ৩০% নতুন নেতৃত্বকে কমিটিতে নিয়ে আসা হয়েছে । এই ৩০%-এর অধিকাংশই দলের ছাত্রযুব সংগঠনের অগ্রণী সারির লড়াকু কর্মী । ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে কর্মসংস্থানের দাবিতে নবান্ন অভিযান, কৃষকদের কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলন, মোদি সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী পদক্ষেপ, রাজ্যের দুর্নীতি, ভোট হিংসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে এবং অতি সম্প্রতি আনিস খান হত্যাকান্ডে যেভাবে বামপন্থী ছাত্রযুবরা রাজ্যজুড়ে গণ-আন্দোলন সংগঠিত করেছে, তাতে ছাত্রযুবদের ওপরেই ভরসা রেখেছেন নব নির্বাচিত রাজ্য সম্পাদক কমরেড মহঃ সেলিম । এক্ষেত্রে দলের প্রবীণ নেতাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাত্রযুবদের আরো উজ্জীবিত করবে বলেই মনে করছেন তিনি । তবে রাজ্য কমিটির নতুন মুখের ছাত্রযুব গণ-আন্দোলনই তৃণমূল-বিজেপির ঘুম কেড়ে নেবে বলে আশাবাদী কমরেড সেলিম ।
তিনি আরো বলেন যে কোভিড মহামারি পর্বে রাজ্য এবং কেন্দ্র যখন একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করতে ব্যস্ত, তখন কলকাতা থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রতিটা জেলা ও ভিন রাজ্যেও মানবিক ভূমিকা পালন করেছে একমাত্র "রেড ভলান্টিয়ার্স"। দলের পক্ষ থেকে তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে আগামদিনের রাজনৈতিক লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করা হবে । যাতে নেতৃত্বের হাত আরো বেশি করে তারা শক্ত করতে পারে । রাজ্য-কেন্দ্র উভয় মিলেই রাজ্য তথা দেশবাসীর ঘুম কেড়ে নিয়ে তাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে । ছাত্রযুবদের গণ-আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এবার শাসকের দিনরাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার পালা শুরু হবে বলে দীপ্ত ঘোষণা করেছেন কমরেড রাজ্য সম্পাদক ।
পাশাপাশি, দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশন সমূহের ডাকে শ্রম কোড বাতিল, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ সহ অন্যান্য দাবিতে ২৮-২৯শে মার্চ, দুদিন ব্যাপী যে সর্বভারতীয় সাধারন ধর্মঘটের আহ্বান জানানো হয়েছে, তা সর্বাত্মক সফল করার লক্ষে রাজ্যজুড়ে প্রচার শুরু করেছে সিপিআইএম । ধর্মঘটের সমর্থনে আগামী ২০শে মার্চ সন্ধ্যা ছ'টায় যাদবপুর পূর্ব এরিয়া কমিটির উদ্যোগে অজয়নগর মোড়ে দলের পক্ষ থেকে এক কেন্দ্রীয় সমাবেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে ।
অন্যদিকে, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদী ছাত্রনেতা আনিস খানের প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে রাজ্য সম্মেলনের পরই সরাসরি রাস্তায় নেমে আন্দোলনের ডাক দিল সিপিআইএম ।
0 Comments