নিজস্ব প্রতিবেদক, রামপুরহাট, ২৩ মার্চ ঃ কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো আর এখানে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তাদেরই ছত্রছায়ায় সমস্ত অবৈধ লেনদেন হয়। বুধবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পরিদর্শন করতে এসে একথা বলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
এদিন সকালে দলীয় কর্মীর মোটর বাইকে চড়ে গ্রামে যান মহম্মদ সেলিম। তিন গ্রামে যেতে পারলেও যে বাড়িতে হত্যালীলা চালানো হয়েছিল সেখানে পৌঁছতে পারেননি। কারণ পুলিশ তাকে সেখানে যেতে দেয়নি। পুলিশের মদত না থাকলে এতো বড় ঘটনা ঘটতো না। কারণ পুলিশ যখন জানে যে গ্রামে ভাদুর সাম্রাজ্য চলে তখন ভাদু খুন হওয়ার পর কেন ব্যবস্থা নেওয়া হল না। কিভাবে ভাদুর সাঙ্গোপাঙ্গরা অবাধে গ্রামে ঢুকে হত্যালীলা চালাল? উচ্চপর্যায়ে তদন্ত হলে সব বেরিয়ে পরবে”।
রাতের অন্ধকারে মৃতদেহ সমাধিস্থ করা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, “পুলিশ মৃতদেহ গুলির ফরেনসিক পরীক্ষা না করিয়ে সমাধি দিল। কে ওই মৃতদেহ গুলি সনাক্ত করল। কেনই বা মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে রাতের অন্ধকারে সমাধি দেওয়া হল? পুলিশের এতো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা কেন বুঝতে পারছি না। উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত হলে কবর খুঁড়ে মৃতদেহ তুলে ফরেনসিক পরীক্ষা করাতে হবে। অবশ্য তাঁর আগেই তৃণমূলের কবর খুঁড়তে হবে”।
এদিন দুপুরের দিকে গ্রামে ঢোকেন বিমান বসু। একইভাবে তাঁকে অভিশপ্ত বাড়ির আশেপাশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এনিয়ে বেশ কিছুক্ষণ পুলিশের সঙ্গে বাক্যবিনিময় হয় বিমানবাবুর সঙ্গে। পরে তিনি আরও যে সমস্ত বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সে গুলি ঘুরে দেখেন। গ্রাম ছাড়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এরাজ্যে পুলিশের মদতে গনহত্যা চলছে। আর আমরা যখন সেখানে যাচ্ছি পুলিশ আমাদের যেতে দিচ্ছে না। এখানে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। এর বিচার মানুষই করবে। যেভাবে হত্যালীলা চালানো হয়েছে তা নারকীয় বললে কম বলা হবে। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই”।
0 Comments