ব্রেকিং নিউজ

6/recent/ticker-posts

ধর্মঘটের সমর্থনে রাজ্যকে সুশান্ত ঘোষের হুঁশিয়ারি

 ধর্মঘটের সমর্থনে কলকাতায় বাম ছাত্রযুব ও গণ সংস্কৃতি পরিষদের মিছিল

বিশ্বরূপ দে :  সর্বভারতীয় সাধারণ ধর্মঘটের দুদিন রাজ্যজুড়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হাওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশই জোরালো হচ্ছে । এই ধর্মঘট প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তোপ দাগলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের সিপিআইএম দাপুটে নেতা কমরেড সুশান্ত ঘোষ । 

  কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নসমূহের ডাকা ২৮-২৯শে মার্চ সারা ভারত সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে রাজ্যজুড়ে বামেদের প্রচার ও আন্দোলন দেশের প্রতিটা ছাত্রযুব সহ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষের মধ্যে যথেষ্ট প্রভাব ফেলছে । সূত্রের খবর অনুযায়ী, ধর্মঘটিরা সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে মিছিল ও পথ অবরোধ করে ১০০% ধর্মঘট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । যদিও মানুষ স্বতস্ফূর্ত ভাবেই ধর্মঘটে সামিল হচ্ছে বলে দাবি ধর্মঘট আহ্বায়কদের ।সেক্ষেত্রে ধর্মঘট সর্বাত্মক ভাবে সফল হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল । ধর্মঘটের যথেষ্ট প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গেও । 

কিন্তু ধর্মঘটের দুই দিন সরকারি কর্মীদের অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক করতে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন* । ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে ধর্মঘটের দুদিন যে সকল কর্মচারীরা গরহাজির হবেন, তাদের শোকজ নোটিশ দেবে রাজ্য । নোটিশের জবাব না দিলে বা রাজ্যের পছন্দসই জবাব না হলে সেক্ষেত্রে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ওই কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে । এছাড়া অনুপস্থিতির উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে দুদিনের বেতন কাটা হবে বলে কর্মচারীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে নবান্ন । 

  এই ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের অভ্যন্তরে । নবান্নের এই নির্দেশিকা প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের সিপিআইএম নেতা কমরেড সুশান্ত ঘোষ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে বনধের দুদিন কোনরকম হিংসাত্মক ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার নিতে হবে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনকে । পাশাপাশি তিনি একথাও বলেন যে বনধ ব্যর্থ করতে যদি নবান্ন থেকে পুলিশ ও দলীয় গুন্ডাবাহিনী নামানো হয়, তাহলে তার পরিনাম মোটেই ভালো হবে না । সেক্ষেত্রে সাশকদলকে জবাব দিতে বামেরাও প্রস্তুত আছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুশান্ত ঘোষ । 

  অন্যদিকে দেশ বাঁচাও, দেশবাসী বাঁচাও - এই স্লোগানকে সামনে রেখে দুদিনের ধর্মঘটের সমর্থনে শনিবার মৌলালি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত এক সুসজ্জিত প্রতিবাদী মিছিল সংগঠিত করে AISA, AIPWA, RYA এবং গণ সংস্কৃতি পরিষদের কর্মী ও নেতৃবৃন্দ ।

Post a Comment

0 Comments