ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে - ডিজি মনোজ মালব্য
বিশ্বরূপ দে : সোমবার সন্ধ্যায় বীরভূম ১নং ব্লক অধীনস্ত রামপুরহাটের বরশোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও দাপুটে তৃণমূল নেতা ভাদু উল্লা শেখ খুন হওয়ার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিস্তীর্ণ এলাকা ।
ভাদু শেখ খুন হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই তার অনুগামীরা গ্রামের একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের । প্রায় ১২ জন গ্রামবাসীকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । যাদের মধ্যে ১০টি দেহ একেবারেই ঝলসানো । এই ঘটনাকে শাসকদলের "গণহত্যা" বলেই আখ্যা দিয়েছে বিরোধীরা । যদিও মর্মান্তিক এই ঘটনা প্রসঙ্গে অনুব্রত মন্ডল বলেন যে এটি কোন সংগঠিত হত্যা নয় । শট সার্কিট থেকে আগুন লাগার ফলে টিভিতে বিস্ফোরণ হয় এবং তা থেকেই পাশাপাশি তিন-চারটে বাড়িতে আগুন লাগে । ঘটনার পর দ্রুত দমকল বাহিনী গ্রামে পৌঁছায় এবং একই বাড়ি থেকে ৭ জনের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে ।
অন্যদিকে, এই ঘটনার সাথে ভাদু শেখ হত্যাকাণ্ডের কোন যোগাযোগ নেই বলেই মন্তব্য করেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য । ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই অগ্নিকান্ডের ঘটনা বলে বিবৃতি দিয়েছেন তিনি ।
পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৮ জন । বাকিদের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক । কিন্তু এ কোন রাজনৈতিক হত্যাকান্ড নয় বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য । তবে সমগ্র ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি ।
অনুব্রত মন্ডল ও রাজ্যের ডিজির কথায় কোনরকম আমল দিতে নারাজ বিরোধী শিবির । ক্ষমতায় আসার পর রাজ্য জুড়ে একের পর এক হত্যা সংঘটিত করে চলেছে তৃণমূল সরকার । রামপুরহাটের ঘটনা তার ব্যতিক্রম নয় বলেই দাবি বিরোধীদের ।
মর্মান্তিক এই ঘটনার পরই ক্লোজ করা হয়েছে রামপুরহাট থানার আইসিকে । সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এসডিপিও সায়ন আহমেদকে । ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তে এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংয়ের নেতৃত্বে "সিট" গঠন করা হয়েছে । কমিটিতে রয়েছেন ডিআইজি সিআইডি মিরাজ খালিদ ও আইসি বর্ধমান রেঞ্জ ভরতলাল মীনা ।
0 Comments