ব্রেকিং নিউজ

6/recent/ticker-posts

রামপুরহাটের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি লিবারেশনের

 রামপুরহাট গণহত্যার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে বামেদের আইন অমান্য ও সভা

বিশ্বরূপ দে :   কেন্দ্রের একের পর এক জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে ২৮-২৯শে মার্চ সর্বভারতীয় সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে এবং রামপুরহাটে শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে ২২শে মার্চ মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাজুড়ে বামেদের মিছিল ও আইন অমান্য আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠলো রাজ্য রাজনীতি । এর পাশাপাশি, সিপিআইএমের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, এদিন হাওড়ার রানীহাটিতে আনিস খান হত্যাকাণ্ডে দোষীদের শাস্তি ও জেলার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ)-এর অপসারণের দাবিতে এক প্রতিবাদী জনসভা সংগঠিত করা হয় । উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য সম্পাদক কমরেড মহঃ সেলিম, বর্ষীয়ান নেতা কমরেড বিমান বসু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । সভায় রামপুরহাটের গণহত্যা সংগঠিত করা শাসকদলের দুষ্কৃতীদের শাস্তির দাবি তোলেন বামফ্রন্ট নেতৃত্ব । 

  অন্যদিকে, রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে সংঘটিত গণহত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন । 

  এদিন দলের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে এক প্রেস বিবৃতি জারি করা হয় । উক্ত বিবৃতির মাধ্যমে দলের রাজ্য কমিটির নেতৃত্ব বলেছেন,"রাজ্যজুড়ে, প্রতিবাদী যুবক, নির্বাচিত রাজনৈতিক কর্মীর একের পর এক হত্যার ঘটনায় রাজ্যবাসী চিন্তিত, ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন । পুলিশ ও শাসক দলের রাজনৈতিক মদতপুষ্ট সমাজবিরোধীরা রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ গড়ে তুলতে উঠে পড়ে লেগেছে । এই প্রেক্ষাপটে গতকাল (২১/৩/২২) সন্ধ্যায় রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বিবাদমান গোষ্ঠীর বোমায় নিহত হন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত উপপ্রধান বাদু শেখ । বছর খানেক আগে বাদু শেখের ভাইও খুন হয়েছিল । আজ পর্যন্ত সেই খুনেরও কোন বিচার হয়নি । বাদুর মৃত্যুর খবর গ্রামে আসতেই উত্তেজনার পরিবেশ তৈরী হয় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গ্রামে পুলিশ পিকেট বসে । কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি সত্ত্বেও গভীর রাতে ৭-৮ টি বাড়িতে আগুন লাগানো হয় । অগ্নিদগ্ধ একটি বাড়ি থেকেই ৮ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় । দমকলের হিসেবে ৬ জন মহিলা ও ২টি শিশু সহ ১০ জনের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয় । যদিও রাজ্য পুলিশের প্রধান ৮টি মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন । অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিবাদমান দুই গোষ্ঠী এই হত্যা বা গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন । অথচ সুকৌশলে টিভি-র শর্ট সার্কিটে আগুন লেগেছে  বলে প্রচার চালানো হচ্ছে ।  আমরা অবিলম্বে  রামপুরহাটের এই গণহত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি । শাসক দলের ক্ষমতার বৃত্তে আকন্ঠ জড়িয়ে পড়া রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের পুলিশ অধিকারিকরা এই ধরনের হত্যা বা গণহত্যায় যুক্ত হয়ে পড়ছে বলেই অভিযোগ উঠেছে এবং কোনভাবেই তা নাকচ করে দেওয়া যাচ্ছে না"।

  রাজ্যজুড়ে শাসক দলের এই রাজনৈতিক সন্ত্রাস, এবং হত্যা ও গণহত্যার রাজনীতির বিরুদ্ধে রাজ্যের বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ ও শান্তিপ্রিয় জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন ।

Post a Comment

0 Comments