ব্রেকিং নিউজ

6/recent/ticker-posts

রামপুরহাট ইস্যুতে বুদ্ধিজীবীদের কটাক্ষ শ্রীলেখা মিত্রর

 

গণহত্যার বিচারের দাবিতে রাজ্যজুড়ে বামেদের প্রতিবাদ  



বিশ্বরূপ দে  : আনিস খান হত্যাকান্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের মধ্যেই রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের গণহত্যা বাম গণতান্ত্রিক মহলের চলমান আন্দোলনের গতিকে আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে দিলো । 

  বুধবার গ্রামে ঢোকার মুখে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান কমরেড বিমান বসু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে রাজ্যের পুলিশ আটকে দিলেও, সিপিআইএমের নব নির্বাচিত রাজ্য সম্পাদক কমরেড মহঃ সেলিমকে আটকাতে পারেনি পুলিশ । তিনি মোটর বাইকে চড়ে ঘুরপথে পৌঁছে যান বগটুই গ্রামের নির্দিষ্ট স্থানে, যেখানে একের পর এক বাড়িতে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে গণহত্যা সংগঠিত করে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা বড়শোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মৃত ভাদু শেখের উন্মত্ত বাহিনী । ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলার পর সেখান থেকে রামপুরহাট হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজখবর নেন মহঃ সেলিম । 

  আনিস খান সহ বগটুই গ্রামের অগ্নিসংযোগ ও খুনের ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এদিন রাজ্যজুড়ে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয় । ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে মৌলালি মোড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি সংগঠিত করে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন ।

  তবে এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, বগটুই গ্রামে যাওয়ার পথে বর্ধমানের শক্তিগড়ে "হল্ট" দিয়ে নিজেদের পেটুয়া সাংবাদিক, বন্দুকধারি কেন্দ্রীয় সেপাইদের সাথে জমিয়ে পেটপুরে ল্যাংচা খেলেন বিজেপির দেশভক্ত ও জনদরদী নেতাগণ ।

  আরো উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, একদিন যে বুদ্ধিজীবীরা বামের খেয়ে, বামের পড়ে, বামেদের কৃপায় দেশজোড়া সম্মান ও স্বীকৃতি অর্জন করে তৃণমূলের দলদাসত্ব গ্রহণ করার পর একদিন বামেদেরই বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছিলেন, ২০১১-র ক্ষমতা দখলের পর তৃণমূলের একাধিক সন্ত্রাস দেখে শুনেও তারা মুক ও বধিরে পরিণত হয়েছেন । রামপুরহাট প্রসঙ্গে তাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তারা কেউ চলে যান কবিতা উৎসবে, কেউ "অন্য" মিটিংয়ে, কেউ বা তুচ্ছ এই ঘটনার বিশদ না জেনে কিছুই বলতে পারবেন না বলে ফোন কেটে দেন । এদের পেশাগত পরিচয় "শিল্পী" ।

  তবে এই শিল্পীদের মধ্যেই ঘটনা প্রসঙ্গে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন শ্রীলেখা মিত্র । টালিগঞ্জ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি বলেছেন,"অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের হয়ে কথা বললে চলচ্চিত্র উৎসবের মুখ হওয়া যাবে না । পুরষ্কার পাওয়া যাবে না । তাই সবাই চুপ । জুন মালিয়া নির্বাচনে গ্রামে গ্রামে ঘুরে দলের প্রচার করেছেন । এখন সে যদি এই ঘটনার বিরুদ্ধে কিছু বলেন, তাহলে তো শ্যুটিং ফ্লোরে বকা খাবেন । তাই সবাই চুপ"। বুদ্ধিজীবীদের প্রতিক্রিয়া জানতে না চেয়ে বাংলার সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে শ্রীলেখা মিত্রর পরামর্শ, "ফেসবুকে ন্যাকা ন্যাকা পোস্ট না করে, শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলুন এবং একের পর এক হত্যা ও সন্ত্রাসের বিচার দাবি করুন"। তাঁর প্রশ্ন,"কাশ্মীর ফাইলস দেখে যেসব মানুষ চোখের জল ফেলছেন, এই নারকীয় ঘটনা দেখে তাদের বুক কাঁপছে না ?" 

  অন্যদিকে নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন বলেছেন,"রাজ্যে এই মুহূর্তে বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাই তাঁকে বাঁচাতে অনেক অপ্রীতিকর সিদ্ধান্ত নিতে হয়"।

Post a Comment

0 Comments