নিজস্ব প্রতিবেদক, সিউড়ি, ১৮ এপ্রিল ঃ এবার মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক প্যাকেজ দিতে গিয়ে মাঝ রাস্তা থেকে ফিরতে হল জেলা প্রশাসনকে। আদিবাসীদের কাছ থেকে শুনতে হল গো-ব্যাক স্লোগান। তীর ধনুক নিয়ে আদিবাসীদের তাড়া খেয়ে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। ফলে সোমবারের সরকারি অনুষ্ঠান কার্যত বাতিল হয়ে যায়।
ডেউচা পাঁচামী প্রস্তাবিত কয়লা প্রকল্প গড়ার লক্ষ্যে এলাকার আদিবাসীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন জেলা প্রশাসন থেকে মুখ্যমন্ত্রী নিজে। কিন্তু তাতেও জট কাটার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সোমবার দুপুরে ইচ্ছুক আদিবাসী পরিবারের হাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানবিক প্যাকেজ বিঘা প্রতি ১৩ লক্ষ টাকা, চাকরি ও পাট্টা দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো নির্দিষ্ট সময়ে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেন জেলা শাসক সহ সরকারি আধিকারিকরা। কিন্তু মাঝ পথে আদিবাসীরা তাদের বাধা দেয়। গো-ব্যাক শ্লোগান শুনতে হয় সরকারি আধিকারিকদের। এলাকার আদিবাসী পরিবার হাতে লাঠি নিয়ে বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে আসেন। এলাকার আদিবাসীদের রুদ্রমূর্তি দেখে সরকারি আধিকারিক থেকে এলাকায় আসা তৃণমূল কংগ্রেস বহিরাগত আদিবাসী লোকজনকে এক প্রকার গ্রামের বাইরে বের করে দেয়। ভয়ে প্রাণপণ ছুটে পালায় বহিরাগত তৃণমূল কর্মী সমর্থক থেকে সরকারি আধিকারিকরা। এলাকাবাসী দের দাবি তারা কোন প্যাকেজ চায় না। সরকার লিখিত দিতে হবে এখানে কোন কয়লাখনি হবে না। স্থানীয় বাসিন্দা শিবলাল সোরেন বলেন, “অনুষ্ঠানে তৃণমূল কংগ্রেস বাসে করে বহিরাগত আদিবাসী দের নিয়ে গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করে। আমরা গ্রামে বহিরাগতদের গ্রামে ঢুকতে দেব না। আমরা কয়লাখনি চায় না”। প্রশাসনের আধিকারিক থেকে তৃণমূলের বাস আটকাতে এদিন বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করে আদিবাসীরা। কয়লাখনি এলাকায় ঢোকার আগেই মথুরা পাহাড়ি, দেওয়ানগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় হাতে তীর ধনুক নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। তবে কার্যত প্রশাসনের কর্মীরা দফায় দফায় আলোচনা চালায় তাদের সঙ্গে। কিন্তু তাতেও কোনো সুরাহা মেলেনি তাদের। এর পরেই সরকারি এই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
0 Comments