নিজস্ব প্রতিবেদক, রামপুরহাট, ৯ এপ্রিল : ভাদু শেখ খুনের তদন্তভার হাতে নিয়েই ধৃত পাঁচ অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিল সিবিআই। শনিবার রামপুরহাট মহকুমা আদালতের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা বিচারক শিউলি রায় সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে পাঁচজনের চারদিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, ২১ মার্চ রাত্রি সাড়ে আটটা নাগাদ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধরে বগটুই মোড়ে খুন হন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ভাদু শেখ। সিসিটিভিতে দেখা যায় দুটি মোটর বাইকে চার দুষ্কৃতী এসে খুব কাছ থেকে ভাদুকে তিনটি বোমা মারে। এরপরই দুষ্কৃতীরা বাইকে চরে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরেই পুলিশ রামপুরহাট ভাঁড়শালা পাড়ার বাসিন্দা হানিফ শেখকে গ্রেফতার করে। পরে চামড়াগুদাম পাড়ার সেরা শেখ, নুর ইসলাম ওরফে সঞ্জু, রাজা শেখ, সফিকুল হোসেন ওরফে সফি এবং ভাসান শেখকে গ্রেফতার করে। যদিও ভাদু শেখের অভিযোগ তালিকায় ভাসান ও রাজা শেখের নাম নেই। ভাদু শেখ খুনে মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করে তদন্ত চালাচ্ছিল রাজ্য পুলিশ। ২৫ মার্চ বগটুই হত্যা কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। ৮ এপ্রিল ভাদু খুনেরও তদন্তভারও সিবিআইকে দেয় হাইকোর্ট। এরপরেই এদিন থেকে তারা তদন্ত শুরু করে। ভাদু খুনে ধৃত ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে থাকা পাঁচজনকে এদিন আদালতে তোলা হয়। সিবিআইয়ের আইনজীবী সঞ্জু, সেরা, রাজাদের চারদিন এবং সফি, ভাসানদের পাঁচদিন হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেন। বিচারক সকলের চারদিন সিবিআই হেফাজত মঞ্জুর করেন। তাদের পুনরায় ১৩ এপ্রিল আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সিবিআই এদিন নতুন করে একটি এফ আই আর দায়ের করে ধৃতদের নিয়ে খুনের পুনঃনির্মাণের আবেদন জানায়। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী আব্দুর বারি বলেন, "হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই এদিন ভাদু খুনের দায়িত্বভার নেয়। ধৃত পাঁচজনকে চারদিনের হেফাজত নিয়েছে। তাদের নিয়ে ঘটনার পুনঃনির্মাণ করার অনুমতি চেয়েছেন আদালতের কাছে"।
0 Comments