নিজস্ব প্রতিবেদক : বগটুই হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ল। আজ সকালে মৃত্যু হল আতাহারা বিবি নামে আরও এক মহিলার। এই নিয়ে গণহত্যা কাণ্ডে মৃত বেড়ে হল ১০.
প্রসঙ্গত ২১ মার্চ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রামপুরহাট বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ভাদু শেখকে। খুনের বদলা নিতে বগটুই গ্রামে ১০ টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন সকালে আটজনের পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ২৮ মার্চ রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান নাজিম বিবি। দীর্ঘ ৪০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর আজ ভোরের দিকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হল আতাহার বিবির। ফলে হত্যাকাণ্ডে এক নাবালিকা, এক পুরুষ সহ আট মহিলার মৃত্যু হল।
হত্যাকাণ্ডে পুলিশ ঘটনার পরদিনই ২২ জনকে গ্রেফতার করে। ২৪ মার্চ বগটুই গ্রামে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার নির্দেশে ওইদিনই গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের রামপুরহাট ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে। ২৫ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত ভার নেয় সিবিআই। তদন্তে নেমে তারা মুম্বাই থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রাম থেকে রিটন শেখ নামে আরো একজনকে গ্রেফতার করে। ফলে হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮. তারমধ্যে দুজন নাবালক ছিল। তাদের বিচার চলছিল সিউড়ি জুভেনাইল জাস্টিস আদালতে। আদালত দিন তিনেক আগে দুই নাবালককে শর্তসাপেক্ষে জামিন মুক্তি দেয়। যদিও স্বজনহারা সেখলাল শেখ বলেন, "ওই দুই নাবালকই পর পর বাড়িতে আগুন ধরিয়েছে। কিন্তু আদালত তাদের নাবালক বলে মুক্তি দিয়ে দেওয়ায় গ্রামে সন্ত্রাস বাড়বে"। তিনি আদালতের কাছে অনুরোধ করেন, নাবালক অপরাধ করলে যেন তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। তা না হলে গ্রামের আরও কিছু নাবালক অপরাধে হাত পাকাবে"।
0 Comments