নিজস্ব প্রতিবেদক, রামপুরহাট, ৯ মে ঃ “বাল্য বিবাহ আর না, রবীন্দ্র জয়ন্তীতে এই আমাদের প্রতিজ্ঞা”। এভাবেই বাল্যবিবাহ রোধে শপথ গ্রহন করল মুখ্যমন্ত্রীর মামার গ্রামের ছাত্রীরা। আর শপথ বাক্য পাঠ করালেন মুখ্যমন্ত্রীর মামতুতো ভাই বীরভূম জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ নীহার মুখোপাধ্যায়।
কুসুম্বা উচ্চ বিদ্যালয়ে সোমবার ঘটা করে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট বিধায়ক, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্র, রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বিডিও দীপান্বিতা বর্মণ, পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি পান্থ দাস। সভার শুরুতেই শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ৬০ জন ছাত্রী হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করে। বাল্য বিবাহ তারা করবে না বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। শপথের পরেই স্কুলের ঢোকার মুখে রবীন্দ্রনাথের একটি আবক্ষ মূর্তির উন্মোচন করা হয়। মূর্তির উন্মোচন করেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। আশিসবাবু বলেন, “কন্যাশ্রী মুখ্যমন্ত্রীর একটি স্বপ্নের প্রকল্প। তিনি এই প্রকল্পের মাধ্যমে চেয়েছেন মেয়েরা পড়াশোনার মাধ্যমে নিজের পায়ে দাঁড়াক। এর ফলে পরনির্ভরতা যেমন কাটবে তেমন মেয়েরা স্বাধীন হবে। বাল্যবিবাহের প্রবণতা কমবে। এখানে শিক্ষা অনেকখানি প্রাধান্য পাবে। তাই স্কুলে যে শপথবাক্য পাঠ করানো হল তাঁর একটা তাৎপর্য রয়েছে। আগামী দিনে এই প্রতিজ্ঞার মধ্য দিয়ে তারা বড় হয়ে উঠবে।”
প্রধান শিক্ষক সন্দীপ মণ্ডল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনা পড়াশোনার মধ্যে দিয়ে মেয়েরা এগিয়ে যাক। সেই জন্যই কন্যাশ্রী প্রকল্প। যেটা বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনাকে মানুষের মধ্যে বেশি করে পৌঁছে দিতেই আমরা স্কুলে মেয়েদের মধ্যে শপথবাক্য পাঠ করালাম। তার আগে ছাত্রছাত্রীদের আমরা বিষয়টি নিয়ে অবহিত করেছি। বাল্যবিবাহ করলে কি সমস্যা হতে পারে সেটাও বুঝিয়েছি। আমাদের মতো যদি প্রতিটি স্কুল এভাবে ছাত্রীদের বুঝিয়ে শপথ নেওয়া করায় তাহলে অনেকাংশে বাল্য বিবাহ কমবে”।
0 Comments