নিজস্ব প্রতিনিধি : আবারও সংগীত জগতে নক্ষত্র পতন। গান গাইতে গাইতে চলে গেলেন বিখ্যাত সিঙ্গার কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কে কে। সঙ্গীত জগতে কে কে নামেই পরিচিত ছিলেন তিনি । মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নজরুল মঞ্চে শেষ অনুষ্ঠান করেন তিনি । অনুষ্ঠান যেসব ভক্ত অনুরাগীরা দেখেছেন তারাও কল্পনা করতে পারেননি এটাই কে কের শেষ অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোরে অনুষ্ঠান করার সময় অল্পবিস্তর অসুস্থ বোধ করেছিলেন তিনি। অভিযোগ উঠছে আয়োজকদের আয়োজনে গাফিলতি ছিল। অসংখ্য মানুষকে একসঙ্গে প্রবেশ করিয়ে দেওয়ায় অনেকটা সমস্যা হয়েছে। তিনি হোটেলে ফেরার পর ভক্ত-অনুরাগীদের অনুরোধে ফটোশুট করার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি করে নিয়ে যাওয়া হয় সিএমআরআই হাসপাতালে। সেখানে তাকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল 53 বছর। এত অল্প বয়সে এত বড় প্রতিভাবান শিল্পী মৃত্যু ঘটায় শোকোস্তব্ধ ভারতের শিল্পী অনুরাগীরা ।
মৃত্যুর কারণ নিয়ে উঠতে শুরু করে বিভিন্ন প্রশ্ন। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়। ফরেনসিক দল সরেজমিনে তদন্ত করে দেখেন হোটেলের ভেতরের অংশ।
লালবাজার এর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রশ্ন ওঠায় তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়ে গেছে হাসপাতলে। সেখানেই তাঁর মৃতদেহ ময়না তদন্ত হয়। স্বাভাবিক মৃত্যু কি অস্বাভাবিক মৃত্যু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এর পরেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
কে কের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পরে শুধুমাত্র জেতার ভক্ত-অনুরাগীরা শোকোস্তব্ধ হয়েছে সে রকম নয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে শোক জ্ঞাপন করেছেন। পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে শোক করেছেন। তার সঙ্গে কেকের পরিবারের স্ত্রী-কন্যা সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। সব সময় পাশে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ময়নাতদন্ত শেষে রবীন্দ্রসদনে নিয়ে আসা হয় মৃতদেহ। সেখানে গান সেলুট দিয়ে সম্মান না দেওয়া হয় তারপর মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় তার স্ত্রী কন্যা ও পুত্রের কাছে। আজই মৃতদেহ নিয়ে মুম্বাই চলে যাবেন তারা। অল্প সবের সঙ্গীতজীবনে তার রেখে যাওয়া স্মৃতি আঁকড়ে থাকবেন ভক্ত-অনুরাগীরা। অনেক শিক্ষিত হলেও বলতে হয় আলবিদা কে কে।
0 Comments