নিজস্ব প্রতিবেদক, বোলপুর, ১৫ জুন ঃ অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের এবার বোলপুরের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। বুধবার দুপুরে সায়গলের বোলপুরের ফ্ল্যাটে দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সায়গলের পরিবারের লোকেদের উপস্থিতিতেই ওই ফ্ল্যাটে ব্যাঙ্কের দুই আধিকারিককে সঙ্গে নিয়েই তল্লাশি চালান সিবিআই প্রতিনিধিরা। ফ্ল্যাট থেকে বেশ কিছু নথিও উদ্ধার হয়েছে।
গোরু পাচার এবং সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে সূত্রে খবর। সায়গল হোসেন ও তাঁর পরিবারের জমি-জমা, নগদ সম্পত্তি থেকে গয়নার হিসাবও এদিন গোয়েন্দারা নিয়েছেন এবং তাঁর পরিবারের লোকেদের একপ্রস্থ জেরা করেন বলে সূত্রের খবর।
অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের এবার বোলপুরের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। বুধবার দুপুরে সায়গলের বোলপুরের বাইপাসের রবীন্দ্রবীথির ফ্ল্যাটে দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সায়গলের পরিবারের লোকেদের উপস্থিতিতেই ওই ফ্ল্যাটে ব্যাঙ্কের দুই আধিকারিককে সঙ্গে নিয়েই তল্লাশি চালান সিবিআই প্রতিনিধিরা। ফ্ল্যাট থেকে বেশ কিছু নথিও উদ্ধার হয়েছে। গোরু পাচার এবং সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সায়গল হোসেন ও তাঁর পরিবারের জমি-জমা, নগদ সম্পত্তি থেকে গয়নার হিসাবও এদিন গোয়েন্দারা নিয়েছেন এবং তাঁর পরিবারের লোকেদের একপ্রস্থ জেরা করেন বলে সূত্রের খবর।
সায়গলের পরিবারের সদস্যদের একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদও করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দীর্ঘ তল্লাশির পর দুপুর দেড়টা নাগাদ সায়গলের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে আসেন সিবিআই প্রতিনিধিরা। মূলত সায়গলের বিপুল সম্পত্তির হিসাব নিতে এবং গোরু পাচার সংক্রান্ত নথি-পত্র খুঁজতেই সিবিআই প্রতিনিধি দল এদিন সায়গল হোসেনের বোলপুরের ফ্ল্যাটে হানা দেয় বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, সায়গল হোসেনের বোলপুরের এই ফ্ল্যাটটির আনুমানিক বাজার মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। এছাড়া মুর্শিদাবাদের ডোমকলে দুটি বাড়ি, রাজারহাট ও নিউ টাউনে দুটি ফ্ল্যাট সহ সায়গলের স্ত্রীর নামে বিপুল গয়নার হদিশ মিলেছে। কেবল তৃণমূল নেতার দেহরক্ষী এবং প্রাথমিক শিক্ষিকার স্বামী হয়ে কী ভাবে সায়গল এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হলেন তা নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে। তাই এবার গোরু পাচার সংক্রান্ত অভিযোগের কিনারা করার পাশাপাশি সায়গলের বিপুল সম্পত্তির উৎস খুঁজতে নেমেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার সায়গলের ডোমকলের সিবিআই বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছেন সিবিআই প্রতিনিধিরা।
প্রসঙ্গত, গোরু পাচার মামলায় নাম জড়িয়েছে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নামও। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার সিবি আইয়ের জেরার মুখেও বসেছেন জেলার এই দাপুটে নেতা। তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও জেরা করে। সায়গলের বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় এবং হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির হদিশ পেয়ে তাকে ৯ জুন গ্রেফতার করে সিবিআই। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতেই রয়েছে সায়গল। তার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দেখে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ সিবিআই আধিকারিকদের।
0 Comments