নিজস্ব প্রতিবেদক, রামপুরহাট, ২ জুন ঃ ‘অমিত শাহ বলেছিলেন বাংলায় যাবেন না, বাংলায় গেলে মরতে হবে’। মুম্বাইয়ের সঙ্গীত শিল্পীর মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই মন্তব্যেই শিলমোহর দিলেন বলে আমরা মনে করছি। বৃহস্পতিবার বীরভূমের রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী অফিসের সামনে সাংবাদিকদের একথা বলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
এদিন সিপিএমের পক্ষ থেকে বগটুই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে পদ যাত্রার আয়োজন করে সিপিএম। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বগটুই মোর থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। নেতৃত্ব দেন দলের দুই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী এবং রামচন্দ্র ডোম। মিছিল বগটুই গ্রাম পরিক্রমা করে প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে জমায়েত হয় সিবিআইয়ের অস্থায়ী অফিসে। সেখানে বক্তব্য রাখেন দলের জেলা কমিটির সদস্য সঞ্জীব বর্মণ, রামচন্দ্র ডোম, এবং সুজন চক্রবর্তী। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুজনবাবু বলেন, “বাংলায় শিল্প আসছে না। এবার শিল্পীরাও আসবেন না। কারণ মুম্বাইয়ের সঙ্গীত শিল্পী কৃষ্ণকুমার কেন্নান এখানে এসেছিলেন তৃণমূলের একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে। যেখানে ছিল না শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা। পরিকাঠামোর থেকে বেশি সংখ্যক লোক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শিল্পী অসুস্থ হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হোটেলে। কেউ কেউ বলছেন সিল্পিকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু খুন কিনা সেটা বলব না। বলতে পারি তৃণমূলের অববস্থার কারণে বেঘরে প্রাণ গেল শিল্পীর। আমরা শিল্পীর মৃত্যুর পুরনাঙ্গ তদন্ত চাই”।
এদিন সিবিআইয়ের অফিসের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কার্যত হুমকি দিয়ে বসেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “আমরা চাই বগটুই গনহত্যা কাণ্ডে মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুক সিবিআই। আজ আমরা শুধু সিবিআইকে সচেতন করে গেলাম। পরতের দিন যদি আসতে হয় তাহলে ভালো হবে না”। অনুব্রত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অনুব্রত সিবিআইকে সাত সাতবার ডেকেছে সিবিআই। কিন্তু তিনি বার বার এড়িয়ে গিয়েছেন। দেড় কুইন্টাল বেল কাঠ পুড়িয়েছেন। তিন টিন ঘি পুড়িয়েছেন। উডবার্ন ওয়ার্ডে গিয়ে রক্ষাকবজ মেলেনি। তাই প্রয়োজনে অনুব্রত মণ্ডলকে ঘাড় ধরে নিয়ে যাক সিবিআই। মনে রাখবেন অনুব্রত মণ্ডলকে জেলের মধ্যেই থাকতেই হবে”।
0 Comments