ব্রেকিং নিউজ

6/recent/ticker-posts

নিতাই বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা, আতঙ্কে সাধু সেবকরা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, রামপুরহাট, ৩০ জুন ঃ বার বার স্থানীয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় আতঙ্কিত বীরভূমের নিতাই বাড়ির সাধু, সেবক, কর্মীরা। রাতারাতি সিদ্ধান্ত নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নিতাই বাড়ি আশ্রম ভক্তদের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। পরে অবশ্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আশ্রম কর্তৃপক্ষ।

প্রভু নিত্যানন্দের জন্মস্থান বীরচন্দ্রপুরের একচক্রা ধাম। ভক্তদের কাছে নিতাই বাড়ি নামে পরিচিত। বেশ কিছুদিন থেকে সেখানে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা মানসিক ও শারীরিকভাবে আশ্রমের সাধু, সেবক ও কর্মীদের উপর অত্যাচার করছে বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার থেকে আশ্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় আশ্রম কর্তৃপক্ষ।

আশ্রমের সেবাইত বাবলু দত্ত, বাপি রায়রা বলেন, “আশ্রমের নিয়ম হচ্ছে মোবাইল নিরাপত্তারক্ষীর কাছে জমা দিয়ে আশ্রম চত্বরে প্রবেশ করতে হবে। কিন্তু সেই নিয়মকানুনকে লঙ্ঘন করে বুধবার এক দম্পত্তি মোবাইল নিয়ে আশ্রম চত্বরে প্রবেশ করেন। আশ্রম চত্বরে ঢুকে ছবিও তুলতে শুরু করেন। এরপরেই তাঁকে বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষী তরুণ সাহা। তিনি ওই দম্পত্তির মোবাইল কেড়ে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখনে। পরে অবশ্য মোবাইল ফেরত দিয়ে দম্পত্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আশ্রম থেকে বেরিয়ে ওই দম্পত্তি সোজা চলে যান গ্রামের বাসিন্দা তাদের নিকট আত্মীয় ডাবুক অঞ্চলের পঞ্চায়েত সদস্য বৈদ্যনাথ ঘোষের বাড়ি। এরপরেই বৈদ্যনাথবাবু দলবল নিয়ে আশ্রমে চড়াও হন বলে অভিযোগ। মারধর করা হয় নিরাপত্তারক্ষী তরুণ সাহাকে। তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে দেওয়া হয়। সন্ধ্যার দিকে আমরা তাকে ব্যক্তিগত মুচলেখা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। শুধু বুধবারই নয় মাঝে মধ্যেই স্থানীয় দুষ্কৃতীরা আশ্রমে চড়াও হন। তাই বাধ্য হয়ে আশ্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। রাতে প্রশাসন নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিলে বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়”।

বৈদ্যনাথ ঘোষ বলেন, “বুধবার আমার ভাগ্নে ও তার স্ত্রী কান্দি থেকে নিতাই বাড়ি দর্শন করতে এসেছিল। নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। ভাগ্নের স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করে। তাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা জরিমানা করে। খবর পেয়ে আমি আশ্রমে গিয়েছিলাম। কিন্তু আশ্রমের সেবক, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে সদুত্তর পায়নি। তাই নিরাপত্তারক্ষী তরুণ সাহাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিই। কিন্তু আশ্রম বলে কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করিনি”।

Post a Comment

0 Comments