২০ হাজার গণস্বাক্ষর সহ চার সদস্যের প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি দিল শিক্ষা দফতরে
বিশ্বরূপ দে
মিড ডে মিল রন্ধন কর্মীদের প্রতি দীর্ঘ সরকারী বঞ্চনার বিরুদ্ধে AICCTU অনুমোদিত "পশ্চিমবঙ্গ সংগ্রামী রন্ধন কর্মী ইউনিয়ন এবং নদিয়া জেলা সংগ্রামী মিড ডে মিল ইউনিয়ন"-এর যৌথ উদ্যোগে ৭ ও ৮ই জুন, এই দুদিন ব্যাপী কলকাতার ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেলে বিক্ষোভ ও গণঅবস্থান কর্মসূচি সংগঠিত হয় ।
মিড ডে মিল কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধি, শ্রমিক হিসাবে স্বীকৃতি, ১২ মাস কাজে ১২ মাস মজুরি ও সামাজিক সুরক্ষার দাবি নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ সমাবেশে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত কর্মী প্রখর দাবদাহ উপেক্ষা করে সামিল হন । এই অবস্থান থেকে উভয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মীনা পাল, জয়শ্রী দাস, কৃষ্ণ গোপাল দাস ও চায়না শেখ অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে বলেন, "পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য, যে রাজ্য সারা দেশের মধ্যে এই কর্মীদের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রশ্নে সবার থেকে পিছিয়ে । গত ১০ বছর কোন মজুরি বাড়ানো হয় নি এ রাজ্যের । বহু আবেদন ও প্রতিশ্রুতির পালা শেষ হয়েছে । রাজ্যের দরিদ্র ও প্রান্তিক ঘরের এই মহিলাদের প্রতি এক চরম বঞ্চনা ও অপমান চলছে"।
CITU অনুমোদিত মিড ডে মিল ইউনিয়ন নেত্রী মধুমিতা চ্যাটার্জী, স্বরাজ ইন্ডিয়া দলের মিড ডে মিল ইউনিয়ন নেতা প্রবীর মিশ্র, AIUTUC অনুমোদিত মিড ডে মিল ইউনিয়ন নেতা শ্যামল রাম, PDS নেত্রী অনুরাধা দেব এবং AICCTU রাজ্য সভাপতি ও সম্পাদক যথাক্রমে অতনু চক্রবর্তী ও নবেন্দু দাশগুপ্ত সহ একাধিক সংগঠন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ দুদিনের এই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছেন ।
৮ই জুন ২০ হাজার গণ স্বাক্ষর সহ ৪ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষা সচিবের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন । প্রতিনিধি দলে ছিলেন মীনা পাল, জয়শ্রী দাস, কৃষ্ণগোপাল দাস, চায়না শেখ । যথারীতি শিক্ষা মন্ত্রী অনুপস্থিত থাকায় শিক্ষাসচিব স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এবং জানান, "রাজ্যের তহবিল নেই , তাই কোন দাবিই পূর্ণ করা যাবে না"। তবে স্মারকলিপি শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি ।
এবিষয়ে সরকারের তরফে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা না হলে পরবর্তী পদক্ষেপে বৃহত্তর কার্যক্রম দ্রুত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংঠনদ্বয়ের নেতৃবৃন্দ ।
0 Comments