নিজস্ব প্রতিনিধি, মুর্শিদাবাদ : সীমান্তে অনুপ্রবেশ প্রতিদিনের ঘটনা। সীমান্তে সীমান্ত রক্ষীরা এই অনুপ্রবেশ কে বন্ধ করার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারপরও ঘটছে অনুপ্রবেশ। গত ১৭ জুলাই এর সকাল ৮০০ টায় বিএসএফের সীমা চৌকি ফারজিপাড়া, ১৪১ ব্যাটালিয়নের এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। মানব পাচার প্রতিরোধ ইউনিটের সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে কর্তব্যরত কর্মীরা, আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকারী এক কিশোরীকে আটক করে। মেয়েটির নাম মুক্তা মন্ডল (১৮) (কাল্পনিক নাম), জেলা- মুর্শিদাবাদ।
আর্থিক অসচ্ছলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতারকরা প্রতারণা করে থাকে। কাজের সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এর আগেও এরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে। প্রতারকরা সব সময় আর্থিক অসচ্ছল যুবতীদের বেছে নেয়। মুক্তাও তার ব্যতিক্রম নয়।
মুক্তা মন্ডল ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে। ভারতীয় সীমান্তের রক্ষা বাহিনী তাকে আটক করে। মুক্তা মন্ডল (কাল্পনিক নাম) । মুক্তা জিজ্ঞাসাবাদের সময় স্বীকার করে যে সে মানব পাচার চক্রের সাথে জড়িত এবং নিজেও মানব পাচারের শিকার হয়েছে। সে জানায়, প্রায় ১১ মাস আগে সে দিল্লির মালবিয় নগরে বসবাসকারী এক বাংলাদেশি মহিলার সংস্পর্শে আসে। কাজের সন্ধানে সে তার সাথে দিল্লিতেও কিছুদিন ছিল। তখন ওই মহিলা তাকে অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করে। ওই তরুণী আরো জানায়, সীমান্ত এলাকা থেকে ২-৩ জন মেয়েকে পতিতাবৃত্তির জন্য সেখানে নিয়ে যাওয়ার শর্তে ওই বাংলাদেশি মহিলা তাকে বাড়িতে পাঠিয়েছিল।
দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত জনসংযোগ আধিকারিক এবং ডিআইজি অমরীশ কুমার আর্য বলেন যে বাজার থেকে বিরত থাকতে হবে, মানব পাচার একটি অত্যন্ত জঘন্য কাজ। এটি মহিলাদের জীবন নিয়ে খেলা করে। জনগণকে এই ধরনের জঘণ্য অপরাধ থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি বলেন। তিনি আরও বলেন , জওয়ানরা যে কোনও ধরণের চোরাচালান বন্ধ করতে সক্ষম। তিনি কড়া ভাষায় বলেন যে তার জওয়ানরা কোন অবস্থাতেই সীমান্তে চোরাচালান বা অন্য কোন ধরনের অপরাধ হতে দেবে না এবং এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের কোনো ভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না।
0 Comments