Songs of the Golden Age , gramaphone records
নিজস্ব প্রতিনিধি ,কলকাতা : পুরোনো দিনের গান আজও ভরে মন প্রাণ। গেয়েছিলেন নচিকেতা। কিন্তু আজও কি পাওয়া যায় কলের গানের রেকর্ড ?
লেনিন সরণির দিয়ে, ওয়েলিংটন স্ট্রিট ক্রসিং থেকে শিয়ালদহের দিকে একটু এগোলেই ফুটপাথের ওপর চোখে পড়বে ঝুলছে বড় বড় কালো থালা অর্থাৎ রেকর্ড। পাশেই ছাড়া ছাড়া কয়েকটা দোকান জ্বলজ্বল করছে জীবন্ত ইতিহাস নিয়ে।
কোনও ঝাঁ চকচকে দোকান নয়, ফুটপাথের উপরেই কাঠের শোকেস নিয়ে বসে আছেন কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের বয়স হয়তো বাক্সে থাকা রেকর্ডগুলোর মতোই। রোজ এখানেই পুরোনো রেকর্ড নিয়ে বসে পড়েন মহম্মদ নাসিম । কলের গান, ‘অ্যান্টিক’ তকমা লেগেছে নামের আগে। তবে প্রযুক্তির সঙ্গে লড়াইয়ে কি হেরেই গেছে এই কলের গান ? কি বললেন শুনে নিন মহম্মদ নাসিম ।
বাংলা গানের রেকর্ডের চাহিদাও ভালই। শোকেসে শোভা পাচ্ছে পঙ্কজ মল্লিক, আখতারি বাঈ, রামকুমার চট্টোপাধ্যায়, নির্মলেন্দু চৌধুরীর গানের রেকর্ড । তবে বেশিরভাগই বিভিন্ন সময়ে গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীতের সম্ভার। ফিরোজা বেগম থেকে দেবব্রত বিশ্বাস বা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, লতা মঙ্গেসকর, আশা ভোঁসলে, উষা উথ্থুপ. সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গানের বিক্রি নয় নয় করে বেশ ভালই।
খদ্দের যে খুব একটা কম হয় তাও নয়। এখনও অনেক মানুষই কলের গানের খোঁজ নেন এই ফুটপাথেই। কেউ কেনেন সংগ্রহের জন্য, কেউ বা আবার আজও কলে দম দিয়ে গান শোনেন। আসলে মোবাইলে গান শোনা অত্যাধুনিক এই প্রজন্মের পাশাপাশি আরও একটা প্রজন্ম রয়ে গেছে। সেই নস্টালজিক গানকে ভালবাসা প্রজন্মকে সেলাম জানাতেই হয়।
0 Comments