ব্রেকিং নিউজ

6/recent/ticker-posts

পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি মন্ত্রীত্ব হারাবেন ? কী বলছে সংবিধান ?

নিজস্ব প্রতিনিধি :  আইন সকলের জন্যই সমান  ফৌজদারি মামলাই হোক বা দেওয়ানি যে কোনও অভিযোগেই পুলিশ বা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল মনে করলে কেন্দ্রের বা রাজ্যের মন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে পারে। ভারতীয় সংবিধান সে ক্ষেত্রে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা মন্ত্রীদের কোনো রক্ষা কবজ দেয় নি। কেবল মাত্র সংবিধানের রক্ষা কবজ পেয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল। ক্ষমতায় থাকলে এদের গ্রেফতার করা যায় না । সেক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও (Partha chattopadhyay) আইনি কোনো রক্ষা কবজ পাবেন না। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে গ্রেফতারের পর কি ?  পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি মন্ত্রীত্ব হারাবেন ? কী বলছে সংবিধান ?

 কোনো সরকারি কর্মচারীর ৭২ ঘন্টা হাজতবাস করলে সার্ভিস রুল অনুযায়ী তাকে সাসপেন্ড করা বাধ্যতামুলক। কিন্তু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে কি এমন কোনো নিয়ম আছে ? কোনো কেন্দ্রীয় বা রাজ্যের মন্ত্রী যদি গ্রেফতার হন তাকে কি বরখাস্ত করা বাধ্যতামূলক ? কি বলছে ভারতীয় সংবিধান ? প্রবীন সাংবাদিক দেবাশিস ভট্টাচার্য ফোনে জানান সংবিধানে এর কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই{ পুরোটাই মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল। আসলে এমন পরিস্থিতির যে সৃষ্টি হতে পারে আমাদের সংবিধান প্রনেতারা তা হয়তো অনুধাবনই করতে পারেন নি। 

সংবিধানে স্পষ্ট নির্দেশ না থাকলেও ইতিমধ্যেই বিরোধীরা মন্ত্রী সভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অপসারন চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উপর চাপ বাড়াতে শুরু করে দিয়েছেন। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ এনার কি মুখ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বাঁচাতে সিজিও কমপ্লেক্সে ধর্ণায় বসবেন ?

টুইট করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারনের দাবি করেছেন দীলিপ ঘোষ সুভেন্দু অধিকারীও।

 এরই মধ্যে কুনাল ঘোষ জানিয়ে দিয়েছেন ইডি (enforcement directorate) যে টাকা উদ্ধার করেছে, তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এই তদন্তে যাঁদের নাম আসছে, এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের বা তাঁদের আইনজীবীদের। দল সব নজর রাখছে। যথাসময়ে বক্তব্য জানাবে। কুনালের এই বক্তব্য ঘিরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

ইতিমধ্যেই বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়  জানিয়ে দিয়েছেন ইডি সরকারি ভাবে তাকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির বিষয়ে কিছু জানায় নি।

ইতিহাস বলছে কংগ্রেস এবং বাম জামানায় কোনো মন্ত্রীর গ্রেফতারির খবর নেই। তৃণমূল জামানায় এর আগে মন্ত্রী থাকাকালিন গ্রেফতার হয়ে হাজতবাস করেছেন মদন মিত্র। গ্রেফতারির পরও মাস খানেক জেলে বসেই পরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন কামারহাটির তহকালীন বিধায়ক। মন্ত্রী থাকাকালিন গতবছরের মে মাসে নারদা কান্ডে দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমকেও গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। কিন্তু গ্রেফতারের কয়েক ঘ্টার মধ্যেই জামিন পেয়ে যান তারা। ফলে তাদেরও মন্ত্রীত্ব থেকে সরান নি মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবারের বিষয়টা আলাদা। বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বরখাস্তের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর উপর চ।প আরও বাড়াবে বিরোধীরা, তা বলাই বাহুল্য। সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা না থাকলেও সিদ্ধান্ত একটা নিতেই হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। কারন পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুধু রাজ্যমন্ত্রী সভার গুরুত্ব পূর্ণ সদস্যই নন. দলের মহাসচিবও। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী ।

Post a Comment

0 Comments