ব্রেকিং নিউজ

6/recent/ticker-posts

কন্ডোম আসক্তি ! অল্প বয়সীদের কেন বাড়ছে এই আসক্তি ?

 নিজস্ব প্রতিনিধি : মেদিনীপুর : মদ, বিড়ি, গাঁজা, চড়স, হেরোইনের নেশার কথা তো শুনেছেন। শুনেছেন নেশার উপকরন হিসেবে সাপের ছোবল বা রুমালে করে দেন্দ্রাইট শোকার গল্পও। কিন্তু সেসব এখন অতীত। নেশাখোরদের অত্যাধুনিক এই নেশার কথা শুনে চোখ কপালে উঠেছে ঝানু পুলিশ কর্তা থেকে সমাজবিদদেরও । আধুনিক প্রজন্ম মেতেছে কনডমের Condom addiction নেশায়। ঠিকই শুনেছেন। কন্ডোমের নেশায়। 

হোস্টেলে বা বাড়িতে মদের বোতল নিয়ে ঢোকা যাবে না। বাইরে থেকে মদ খেয়েও ঢোকা যাবে না। আবার নিত্যদিন মদের নেশা করার মতো পয়সাও নেই। তাহলে উপায়? সেটাই এখন কাঁপাচ্ছে দুর্গাপুরকে। কন্ডোমের নেশায় বুঁদ তরুণ প্রজন্ম  ।  ইস্পাতনগরীতে হু হু করে বেড়ে গিয়েছে ফ্লেভার্ড কন্ডোমের বিক্রি। সিটি সেন্টার, বিধাননগর, চন্ডিদাস, বেনাচিতি, মুচিপাড়া, সি জোন, এ জোন সর্বত্রই হু হু করে বেড়েছে ফ্লেভার্ড কন্ডোমের বিক্রি। আর  কেন এই বিক্রি বেড়ে গিয়েছে তা খোঁজ নিতে গিয়ে চোখ কপালে উঠেছে স্থানীয় প্রশাসনের। জানা গেছে কন্ডোম বিক্রির নেপথ্যে অবাধ সেক্সের পাশাপাশি রয়েছে নেশার বিষয়ও। কার্যত কন্ডোমের নেশায় বুঁদ হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুরের তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ।

কিন্তু কন্ডোম দিয়ে কীভাবে নেশা হওয়া সম্ভব?  কণ্ডোমে থাকে লুব্রেকেটিং জাতীয় পদার্থ। এই তৈলাক্ত পদার্থ আসলে অ্যারোমেটিক কমপাউন্ড। সেই সঙ্গে ফ্লেভার্ড কন্ডোমে থাকে ফ্লেভার অনুযায়ী সুগন্ধি। এই দুইয়ের সংমিশ্রণে সেক্সের মুহুর্তে উত্তেজনা বেড়েও যায়। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে গরম জলে এই ধরনের কন্ডোম ভিজিয়ে রাখলে কন্ডোমের গায়ে থাকা অ্যারোমেটিক কমপাউন্ড ভেঙে গিয়ে তা থেকে অ্যালকোহল বেরিয়ে আসে। আর এই অ্যালকোহল মিশে যায় ওই জলের মধ্যে। পরেরদিন সকালে সেই জল খেলে মোটামুটি ১০-১২ ঘন্টা বিন্দাশ নেশা হয়। আর এই নেশাতেই এখন বুঁদ হয়ে রয়েছে দুর্গাপুরের তরুণ প্রজন্ম। 

এমন সংবাদ না করতে হলেই সবচেয়ে খুশি হতাম আমরা। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের সামাজিক দায় দায়িত্ব থেকেই এমন নিউজ করা। যাতে অভিভাবকরা আরও সচেতন হন তাদের সন্তাদদের প্রতি। যাতে কলেজে পড়ুয়া বা  সদ্য কলেজ থেকে পাশ করে চাকরির সন্ধানে যুবক বাঁচতে পারে এই মারণ নেশার কবল থেকে । 

Post a Comment

0 Comments