নিজস্ব প্রতিবেদক : সীমান্ত থেকে অবিলম্বে সম্পূর্ন সেনা না প্রত্যাহার করলে চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগের মতো স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব নয়। চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইরকে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর । জি-20 বৈঠকের মধ্যে ইন্দোনেশিযার বালিতে ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে নটায় মুখোমুখি বৈঠকে বসেন দুদেশের বিদেশমন্ত্রীরা।
দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক আগের মতো স্বাভাবিক করতে চাইলে বেজিংকে সীমান্তে লম্ফঝম্প বল্ধ করতে হবে। কারন দোস্তি আর কুস্তি একসাথে হয় না। জি-20 বৈঠকের মধ্যে ইন্দোনেশিযার বালিতে বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে নটায় মুখোমুখি বৈঠকে বসেন দুদেশের বিদেশমন্ত্রীরা। সেখানেই চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইরকে ভারতের অবস্থান পরিষ্কার জানিয়ে দেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর । টুইটে জয়শঙ্কর জানান সকালে আমাদের মধ্যে এক ঘন্টা আলোচনা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে সীমান্ত পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে তা আমি চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইরকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি। জয়শঙ্কর আরও জানান তিনটি বিষয়ের উপর ভারত-চিন সম্পর্ক নির্ভরশীল।
পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতা এবং পারস্পরিক স্বার্থ, ভারতের অখন্ডতা ও সার্বভোমতাকে সম্মান না করলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব নয়। দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে এক ঘণ্টার বৈঠকে দু দেশের পড়ুয়াদের সুযোগ সুবিধা ও দু দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা নিয়েও কথা হয়। কিন্তু ভারতের তরফ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয় সীমান্তের উত্তেজনা যে কোনও মূল্যে আগে প্রশমিত করুক বেজিং অবিলম্বে বিতর্কিত লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরাক লাল চিন। কিন্তু কেন বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এতো কড়া অবস্থান নিল ভারত? আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন এবং তাইওয়ান দখলের হুমকি দেওয়া চিন এখন আন্তর্জাতিক মঞ্চে যথেষ্টই এক ঘরে। তার উপর পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার আর্থিক দুরাবস্থার জন্যও অনেকে চিনের আগ্রাসী নীতিকে দায়ী করে দুষছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে চিন কিছুটা ব্যাক ফুটে হওয়াতেই তার অ্যাডভান্টেজ নিতে মরিয়া নয়া দিল্লি। এর পাশাপাশি রয়েছে ঘরোযা রাজনীতির বাধ্যবাধকতাও। 2024 সালে দেশে লোকসভা নির্বাচন, মোদি বিলক্ষণ জানেন বিরোধীরা চিন সীমান্তকে ইস্যু করবেই।
কূটনীতির পাশাপাশি চিনের চিরকালিন অস্বস্তি দালাই লামা কার্ডও ভারত হাল্কা করে খেলতে শুরু করেছে,দলাই লামার জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্চা জানান প্রধানমন্ত্রী। নরমে গরমে বেজিংকে বার্তা পাঠাল নয়া দিল্লি। এখন প্রতিবেশি সেই বার্তা কতটা বোঝে সেটাই দেখার।
0 Comments