ব্রেকিং নিউজ

6/recent/ticker-posts

মুড়িতেও GST! শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

 

নিজস্ব প্রতিনিধি : শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেই দিল্লি থেকে বিজেপিকে উৎখাত করে বিকল্প সরকার তৈরি হবে। তিনি বলেন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বিজেপি।  

১৯৯৩ সালের ২১শে জুলাই তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকরণ অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে কলকাতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের গুলিতে গুলিতে প্রাণ হারান ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মী। পরবর্তীকাল কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলাদা দল তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করলে একুশে জুলাই শহীদ দিবসের আনুষ্ঠানিক জনসভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বাৎসরিক সর্ববৃহৎ জনসভায় পরিণত হয়। এই দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দলের আগামীদিনের রুপরেখা তার দলের কর্মীদের জানিয়ে দেন।  

তাই এদিন প্রত্যাশিতভাবেই একুশের মঞ্চ থেকে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিয়েছেন মমতা। মমতা বলেন "মানুষ গরিবের প্রধানমন্ত্রী চায় বড়লোকের প্রধানমন্ত্রী চায় না " কর্মীদের উদ্দেশ্যে  তার বার্তা " ‘২০২৪-এ বিজেপির কারাগার ভাঙো, মানুষের সরকার আনো।’ মমতার কথায়,”২০২৪-এর নির্বাচন কাউকে বেছে নেওয়ার নয়, ২০২৪ নির্বাচন বিজেপিকে উৎখাত করার। ২০২৪-এর নির্বাচন ইলেকশন নয়, রিজেকশনের নির্বাচন।” তৃণমূল নেত্রীর দাবি, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বিজেপি। আর বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেই বাকিরা একত্রিত হয়ে যাবে। অর্থাৎ তৃণমূল নেত্রী বুঝিয়ে দিলেন, ২৪-এ দিল্লিতে বিকল্প সরকার গড়বে সম্মিলিত বিরোধীরাই।

মমতার দাবি বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে তার দল তৃণমূল। তাই এদিন দলীয় কর্মীদের আগামী নির্বাচনে বার্তা দিয়ে মমতা বলেন  “লোকসভা নির্বাচনে বাংলার সব আসনে জিততে হবে না। আর শুধু এখানে নয়, ত্রিপুরায় জিততে হবে। অসমে জিততে হবে। মেঘালয়ে জিততে হবে। বিহারে জিততে হবে। উত্তরপ্রদেশেও জিততে হবে। আমরা নিজেরা লড়ব। আমাদের নিজেদেরও লড়তে হবে। জয় বাংলা দিচ্ছে ডাক, জয় ভারত বেঁচে থাক।” মমতার বার্তা, “আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। হুঁশিয়ার থেকে লড়াই করতে হবে। আপনি যত হুঁশিয়ার হবেন, বিজেপি তত পিছু হটবে। ওরা অহঙ্কারী হোক, আমরা মানবিক হব।”আগামী দিনে তৃণমূলের ব্যপ্তি যে গোটা দেশে হতে চলেছে, সেটাও একুশের মঞ্চেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন নেত্রী। মমতা বলেছেন, “আমি চাই ভারতবর্ষে একটাই আদর্শ পার্টি থাকুক যার নাম তৃণমূল কংগ্রেস। ভারতবর্ষে একটাই একটাই হিম্মতদার দল থাকুক সেটা তৃণমূল কংগ্রেস 

এদিন দলীয় কর্মীদের ইডি-সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানো থেকে শুরু করে, অগ্নিপথ, জিএসটি, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, বেকারত্ব, একের পর এক ইস্যুতে বিজেপিকে বিঁধেছেন মমতা। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের জয়ের পর এটাই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব থেকে বড় জনসভা সেখানে প্রবল জনস্রোতের মধ্যে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন "মানুষের জনস্রোত বিজেপিকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।  ওদের মেরুদন্ড ব্যকা। বিজেপি বাংলা আমাদের অনেকভাবে হারানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু পারেনি।বিজেপি ভাবছে মুম্বাই ভেঙেছি ,এরপর হরিনায়া ভাঙবো, ছত্তিশগড় ভাঙবো, বাংলা ভাঙবো। আমি বলি এগিও না , বাংলায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার আছে।"

বিজেপিকে কটাক্ষ করে তার দাবি বিজেপি একটা রাজনৈতিক দল পুরো বুদ্ধিটা মুরু বৃক্ষ , দেউলিয়া বৃক্ষ হয়ে গিয়েছে।  বুদ্ধির ঢিপি তে কিছু নেই।  বুদ্ধির ঢিপি টা পুরো মুরুভূমি হয়ে গিয়েছে।  মুরিতেও GST  ! চিরে , দই , নকুল দানা , বাতাসায় GST লোকে কী খাবে ? খাবো কী ? মানুষ কী খাবে ?  আমাদের মুড়ি ফিরিয়ে দেও নইলে বিজেপি বিদায় নেও। পরিষ্কার কথা ভাত মুড়ি খেয়ে আমরা বেঁচে থাকি। রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও GST, মরে গেলে কত GST ? মৃতদেহের খাটে কত GST ? টাকার দাম কমে গিয়েছে।"বুঝতেই পারছেন কী সুন্দর সরকারের আমলে আমরা বাস করছি।  দরিদ্র মানুষের জন্য কিছু নেই।  দরিদ্র মানুষের যা কিছু বিজেপি হরণ করে নিয়েছে। 

এদিন কার্যত হুংকার মমতা বলেন "বাংলার ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।  ৭ মাস গরীব মানুষ টাকা পায় না। আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে, গ্রামীণ রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এমন কী হয়েছে যার জন্য আপনারা বাংলাকে আর্থিক অবরোধ করেছেন ? রাজনীতিতে কেউ হারে কেউ জেতে, গরীব মানুষ যদি টাকা না পায় তাহলে বিজেপি জেনে রাখো সব দল আপনাদের ভয় পায় আমি ভয় পাই না।আমি ট্রেনে, লরি তে করে দিল্লি যাবো দিল্লি রাস্তায় ঘেরাও করবো। ১০০দিনের টাকা জলদি দেও এটা আমাদের পাওনা টাকা।  গরীবের কাজ করার হক"। মমতার দাবি বেকার সমস্যায় জর্জরিত ভারতে বিজেপির আমলে ৪৫%বেকারত্ব বেড়েছে। কিন্তু বাংলায় ৪০%বেকারত্ব কমেছে। কমেছে দারিদ্র্যতা।

Post a Comment

0 Comments