নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা ঃ শুধু টেট বা এসএসসির স্থায়ী সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেই নয়, এবার অস্থায়ী সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও স্বজন পোষণের অভিযোগ উঠল ।চড়িয়ালে রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তরে স্থায়ী কর্মচারী মাত্র ৩ জন। সেখানে অস্থায়ী কর্মীর সখ্যা চল্লিশের বেশি।অভিযোগ তাদের বেশির ভাগই সঠিক সময় অফিস আসেন না{ অথচ তাদের মাইনা বাবদ সরকারকে প্রতিমাসে গুনতে হচ্ছে লাখ লাখ টাকা ।
না, না এটা কোনো ভুতুরে বাড়ি নয়, এটা হল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার চড়িয়ালে রাজ্য সরকারের সেচ বা ইরিগেশন দপ্তর। বছর কয়েক আগে আয়লার ঝড়ে উড়ে গেছে সাইন বোর্ডটাও। তারপর থেকে সেটাও আর লাগানো হয়ে ওঠে ন।
আর পাঁচটা সরকারি দফতরের মতন এখানেও ডিউটি টাইম সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় সেচ দপ্তরে পৌঁছে একজন অস্থায়ী কর্মী ছাড়া আর কারুর দেখা মিলল না।
বিষয়টা জানতে আমরা ফোনে যোগাযোগ করি বড়বাবু প্রদ্যুৎ কুমার মান্নার সঙ্গে । সকাল ১১ টা নাগাদ একজন সরকারি বাবু এলেন বটে। এসেই দাবি করলেন আজ একটু কাজ ছিল বলে দেরি হয়ে গেল, অন্যান্য দিন লেট হয় না। সত্যি হবে হয়তো। তার দাবি অন্যান্য দিন সবাই ঠিক সময় চলে আসেন। স্বাধীনতা দিবসের পরদিন বলে সবার আসতে একটু লেট হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মী জানালেন সবই টাকার খেলা। অস্থায়ী সরকারি চাকরি নিয়োগের ক্ষেত্রেও স্বজন পোষণ করেছেন শাসক দলের স্থানীয় নেতারা। জেলা পরিষদের এক সদস্যা, তার স্বামী, বোন সবাই অস্থায়ী সরকারি কর্মচারী। প্রতিদিন অফিস না এসে বা কয়েক ঘণ্টার জন্য নামকে ওয়াস্তে এসেও মাসে ১২ হাজার টাকা করে বেতন নিচ্ছেন তারা। শুধু মাত্র চড়িয়ালের এই সেচ দফতরেই চল্লিশ জনের বেশি অস্থায়ী কর্মী চাকরি করেন। আর তার জন্য রাজ্য সরকারের প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয় । সবাই সব জেনেও ভয়ে মুখ খোলে না। কারণ তারা নেতাদের কাছের মানুষ।
আমাদের কাছে সেই অস্থায়ী কর্মীদের লিস্টও এসে পৌছেছে। সেই লিস্ট খতিয়ে দেখছি আমরা। পরে তথ্য সহ সেই খবরও করা হবে।
0 Comments