Panchayat cut illegal water connection
নিজস্ব প্রতিনিধি, রামপুরহাট, ২ আগস্ট ঃ এলাকায় জল সমস্যা মেটাতে বাড়ি বাড়ি অবৈধ জলের সংযোগ বিচ্ছিন করলো পঞ্চায়েত। গ্রামবাসীদের পাল্টা অভিযোগ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে জানিয়েই জলের সংযোগ নিয়েছিলেন তারা। এমনকি পঞ্চায়েতকে প্রতিমাসে ২০ টাকা করে দিতে হয়। তাহলে অবৈধ হল কিভাবে প্রশ্ন গ্রামবাসীদের।
বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের খরুন পঞ্চায়েত এলাকায় সরকারি ভাবে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়। ওই জল গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ট্যাপকল বসিয়ে গ্রামবাসীদের পানীয় জল দেওয়ার কথা। কিন্তু গ্রামবাসীরা অবৈধভাবে পাইপ ফুটিয়ে বাড়ির ভিতর জল সংযোগ করে নেন। কেউ কেউ ছোটো পাম্প মেসিনের মাধ্যমে জল দোতলায় তুলতে শুরু করেন। ফলে গ্রামের ট্যাপে জল তেমন পাওয়া যেত না বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগ পেয়েই মঙ্গলবার খরুন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের নেতৃত্বে রামপুরহাট থানার পুলিশকে নিয়ে বেশ কিছু গ্রামে অভিযান চালানো হয়। পঞ্চায়েতের পালশা গ্রামে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি অবৈধ জলের সংযোগ কেটে দেয় পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েতের বড়বাবু এরশাদুল কবির বলেন, “অবৈধ ভাবে বাড়ি ও দোকানে পাম্পের সাহায্য জল তুলছে। সেই খবর পেয়ে এদিন সকালে অভিযানে গিয়ে সেই সব অবৈধ জলের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময় যদি অবৈধ ভাবে জলের সংযোগ নেয় তা হলে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানাও ধার্য করা হবে”।গ্রামের বাসিন্দা পাঞ্চালী লেট বলেন, “এলাকায় বেশ কিছু কল খারাপ হয়ে যাওয়ায় জলের সমস্যা হয়েছিলো, সেই কারণে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে জানিয়ে জলের সংযোগ নিয়েছিলাম।তার জন্য প্রতিমাসে ২০ টাকা করে দিতে হয়”। যদিও প্রধানের স্বামী গনেশ লেট বলেন, “জলের পরিষেবা দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েত থেকে কোন কর্মী নিয়োগ হয়নি।এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যরা বিষয়টি দেখে।এর জন্য কারো কাছে টাকা নেওয়া হয় না। অবৈধ ভাবে জল নেওয়ার জন্যই জলের সংযোগ কাটা হয়েছে। সরকারি অধিকাংশ কল ঠিক আছে। কিছু কল খারাপ বলে জানান পঞ্চায়েত প্রধান সুমিত্রা লেট।
0 Comments