ব্রেকিং নিউজ

6/recent/ticker-posts

শ্রাবনের শেষ সোমবারেই বাড়ির ছাদে মহা মৃত্যুঞ্জয় যজ্ঞ, গেস্টহাউসের গৃহ প্রবেশ, এক লহমায সব চুড়মার

 

 নিজস্ব প্রতিবেদক, বোলপুর, ১১ আগস্ট : স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার ১৪১১ সালে পাকাপাকিভাবে বোলপুরের নিচুপট্টী এলাকায় নিজের পাকা বাড়িতে বসবাস শুরু করেন অনুব্রত মণ্ডল। বাড়ির এক পাশেই বাবা কৃপাসিন্ধু মণ্ডল মুদিখানার দোকান শুরু করেন। নানুরের হাটসারেন্দির বনেদি মণ্ডল পরিবারে দারিদ্র‍্যের ছায়া৷ বহু জমি থাকলেও তা বর্গাদারের দখলে। কেষ্ট মণ্ডল তখন উর্তী নেতা৷ ফলে ভিটেগ্রাম ছেড়ে বোলপুরের নিচুপট্টী এলাকায় ঠিকানা হয় তাঁর। তৃণমূলের সূচনা আমল থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের লোক হয়ে ওঠেন কেষ্ট। সেই স্নেহের বসে ২০০৯ সালে দলের সভাপতি হন। এরপর থেকেই সব দিক থেকেই উত্থান নজরে আসে জেলাবাসীর। গাড়ির পর গাড়ি। বাড়ির খোলনলচে বদলে মেঝেতে বসে মার্বেল টাইলস। সরকার ক্ষমতায় আসার কয়েকবছরের মধ্যে বাড়ির পিছনের অংশ কিনে তৈরি হয় অস্থায়ী কার্যালয়। কেও কেও বলেন ওটা গ্যারেজ ঘর। কিন্তু দৈনন্দিন সময়ে কর্মী, নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে সেখানেই দেখা করে যাবতীয় নিদান দেন কেষ্ট। যা সকলেরই নজরে আসে। গত ছ'মাস আগেই নানুর বোলপুর রাস্তার উপরে বাড়ির পাশে ভাঙা পোড়ো বাড়িটি রাতারাতি কিনে ফেলেন তিনি। স্থানীয়দের কথায় ওই বাড়ির মালিক প্রয়াত হওয়ার পর তাঁর মেয়ে জামাইরা অন্য জায়গায় থাকেন। এই জায়গা নিজের নামে কিনতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি অনুব্রত। 

 কি হবে এই জায়গায়? 

 নিজের দলীয় নেতা কর্মীদের এই প্রশ্নের জবাবে দিল দরিয়া কেষ্ট উত্তর দিয়েছিলেন বলে শোনা যায় 'বহু লোক আমার কাছে আসেন দেখা করতে। সকলেই রাস্তার উপর খোলা আকাশের নিচে রোদ জলে দাঁড়িয়ে থাকে। তাই ওখানে একটা গেস্ট হাউস করব৷ যেমন ভাবা তেমনি কাজ।


অনুব্রতর বাড়ি ডান দিকে বিশাল গেট দিয়ে তৈরি হয়েছে "গেস্ট হাউস।" বিশাল গেটে তৈরি হয়েছে বিশ্বভারতীর অনন্য স্থপতি সুরেন করের স্থাপত্য শৈলীর আদলে। আগামী ১৫ আগস্ট শ্রাবনের শেষ সোমবারই ঐ গেস্টহাউসের গৃহ প্রবেশ ও মহা মৃত্যুঞ্জয় যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন তিনি। এই বাড়ি নিয়ে জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "ঐ বাড়িতে গৃহ প্রবেশের অনুষ্ঠান ছিল আগামী ১৫ আগস্ট। আপাততঃ স্থগিত রাখা হল।" 

দলীয় সূত্রে খবর যজ্ঞের জন্য মহারাষ্ট্র ও বেনারস থেকে আসার কথা ছিল আট জন পুরোহিতের। ইতিমধ্যেই বাড়ির ছাদে প্যানডেল তৈরি কাজ প্রায় শেষ। নাট মন্দিরের আদলে দো মহলা প্যানডেল তৈরি করা হয়েছিল। যাতে যজ্ঞ চলাকালীন সহজেই ধোঁয়া না হয়।

অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিবেশী অনিমেষ ঘোষ বলেন, "বাড়ির ছাদে ঐ প্যানডেলে যজ্ঞের অনুষ্ঠান হত আগামী ১৫ আগস্ট। কিন্তু সিবিআই এসে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল। ঐ দিন পাশের বাড়ির গৃহ প্রবেশ হবার কথা ছিল কিন্তু এখন আর হচ্ছে না। "

Post a Comment

0 Comments