ব্রেকিং নিউজ

6/recent/ticker-posts

তাইওয়ান আক্রমণ করবে চিন ?

  China will attack Taiwan?

নিজস্ব প্রতিনিধি :  রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে এবার যুদ্ধের কালো মেঘ এশিয়ার দক্ষিণ চিন সাগরে। তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেইতে ন্যান্সি পেলোসি নামতেই তাইওয়ানের আকাশ সীমার কাছে ধরা পড়ল চিনা ফাইটার জেটের উপস্থিতি। তাইওয়ান সীমান্তেও সাজোয়া গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি করল লাল চিন। সব মিলিয়ে আরও একটা যুদ্ধের কি দোর দোড়ায় বিশ্ব ?

 জল মাপছে মহা শক্তিধর দুই পক্ষ ।আগেই মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে রক্ত চক্ষু দেখিয়েছিল লাল চিন। দিয়েছিল চরম হুমকিও। সেই হুমকি উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার রাতে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেইয়ের শোংসান বিমানবন্দরে অবতরন করে ন্যান্সির বিমান। বিমান অবতরণের সময় সতর্কতার জন্য বিমানবন্দরের আলো কমিয়ে দেওয়া হয় । মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকারকে টর্চ হাতে স্বাগত জানান তাইওয়ানের কর্তারা।  কারণ সে সময় তাইওয়ানের আকাশসীমার খুব কাছে চিনা যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি রাডারে ধরা পড়ে। পাশাপাশি তাইওয়ান সীমান্তেও সাজোয়া গাড়ি ও ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে দেয় বেজিং। 

বেজিংয়ের হুমকির প্রেক্ষিতে পিছিয়ে নেই ওয়াশিংটনও।  পেলোসির সফরের আগেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্রিয় হয় আমেরিকার নৌ এবং বায়ুসেনা।  সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জাপ বিমানঘাঁটি থেকে  তাইওয়ানের আকাশসীমায় পৌঁছয় মার্কিন ফাইটার জেটের একটি স্কোয়াড্রন। পাশাপাশি, পেলোসির সফরের আগে তাইওয়ানের জলসীমায পৌছে যায় আমেরিকার চারটি যুদ্ধজাহাজ । সেই তালিকায় রয়েছে, জাপানে মোতায়েন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রেগন। তাহলে কি দুই মহাশক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী ?  একপক্ষের দাবি তাইওয়ানের বিরুদ্ধে ‘সুনির্দিষ্ট সামরিক অভিযান’ শুরু করতে পারেন শি জিনপিং । অন্য পক্ষের দাবি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিনাম দেখে হয়তো বিশ্বের সর্ব বৃহত শক্তি আমেরিকার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়াবে না চিন। কারণ তাহলে কোয়াড সদস্য হিসেবে আমেরিকার সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারে জাপান, অস্ট্রিলিয়া। আর তার উপর লাদাখ সীমান্তে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা নিয়ে মাথা ব্যাথা তো আছেই । তাই হয়তো তাইওয়ানের সঙ্গে ব্যাবসা বানিজ্যে ইতি টেনে তাইওয়ানকে ভাতে মারতে চাইছে চিন।

Post a Comment

0 Comments