Plastic materials are occupying the market, the bamboo artists of Jhargram are in crisis of existence
নিজস্ব প্রতিনিধি : ঝাড়গ্রাম :বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির হাত ধরে ক্রমশ উন্নত হচ্ছে মানবসভ্যতা।কিন্তু এই উন্নত প্রযুক্তি ও সভ্যতার গ্রাসে ক্রমশ বিলুপ্ত হতে চলছে মানুষের প্রাচীন জীবন জীবিকা নির্ধারণের পদ্ধতি। একইরকম ভাবেই বাজারে ক্রমাগত প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসপত্রের যোগান বাড়তে থাকায়,অস্তিত্ব সংকটে পড়েছেন ঝাড়গ্রামের গোপী বল্লভপুরের বাঁশের আসবাবপত্র তৈরির কারিগররা।
জীবিকা সংকটে বাঁশের আসবাবপত্র তৈরির কারিগর, ডোম সম্প্রদায়ের মানুষজন।নিত্যদিন প্লাস্টিকের তৈরি সরঞ্জাম একচেটিয়া ভাবে বাজার দখল করছে।ফলে চাহিদা কমছে ডোমেদের তৈরি বাঁশের আসবাব পত্রের ।তাই চাহিদার অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে গোপীবল্লভপুরের একাধিক গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ডোম সম্প্রদায় মানুষের একমাত্র জীবিকা। সংসার চালাতে এখন বাধ্য হয়ে এইসব অসহায় পরিবারগুলো কৃষি মুজুরী করে দিন নির্বাহ করছেন।
গোপীবল্লভপুরের আলমপুর গ্রামের ডোম পাড়ার অসহায় পরিবারগুলি সাংবাদিকের কাছে তুলে ধরলেন তাদের অসহায়তার কথা। বাঁশের কারিগরি সুভাষ চন্দ্র ঘড়াই বলেন, প্লাস্টিকের তৈরি পারিবারিক সামগ্রী বাজারে ছেয়ে গেছে। আগে বাঁশের তৈরি ছোট বড় ঝুড়ি,কুলার প্রচুর ব্যবহার ছিল, কিন্তু এখন সেই জায়গা দখল করেছে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র। তার সঙ্গে বেড়েছে কাঁচামাল হিসাবে বাঁশের দাম। সংসার চালানোর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও চড়া। ফলে এসব দিয়ে সংসার চালানো একেবারে অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে লক্ষীন্দর ঘড়াই আক্ষেপের সুরে বলেন,আমরা অর্থ সম্বলহীন মানুষ, কোনরকম জীবিকা করে সংসার চালাই। বাইরের বাজারে বাঁশের সামগ্রী হয়তো থাকতে পারে, কিন্তু বাইরে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ নেই আর্থিক কারণে।
পাশাপাশি ডোম পাড়ার বাসিন্দারা জানিয়েছেন তাদের এই বাঁশ শিল্প কে বাঁচিয়ে রাখতে পারে একমাত্র সরকার।এই বিষয়ে একাধিক বার সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে ও কোন সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ বাঁশের কারিগরদের ।
0 Comments