নিজস্ব প্রতিনিধি : বিহারের রাজনীতিতে নাটকীয় মোড়{বিহারে মহারাষ্ট্র মডেলকে রুখে দিলেন নীতীশ কুমার। এনডিএ ছাড়লেন নীতীশ কুমার। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকেও দিতে চলেছেন ইস্তফা। আবারও জেডিইউয়ের হাত ধরতে রাজি আরজেডি। এই আবহেই মঙ্গলবার বিকেল চারটেয় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন নীতীশ কুমার।
রাজনীতিতে যে সবই সম্ভব মঙ্গলবারের বার বেলায় ফের সেটা টের পেল বিহারবাসী। প্রায় ২১ মাস পর বিহারে এনডিএ ছাড়লেন নীতীশ কুমার। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকেও ইস্তফা দিতে চলেছেন জেডিইউ সুপ্রিমো।
বিজেপিকে ঠেকাতে ফের জেডিইউয়ের হাত ধরতে রাজি আরজেডি। কংগ্রেস ও লিবারেশন নেতৃত্বাধীন বাম জোট বলেছে তারা বাইরে থেকে নীতীশ কুমারকে সমর্থন করতে রাজি। এই আবহেই মঙ্গলবার বিকেল চারটেয় লালু পুত্র তেজস্বী যাদবকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন নীতীশ কুমার।
সেখানেই আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেবেন বলে রাজনৈতিক মহলের জল্পনা। কিন্তু বিহারে কেন বিজেপির সঙ্গে ভাঙন ধরল জেডিইউ-র ? বিহারে বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে খটাখটি লেগেই ছিল নীতীশ কুমারের। সম্প্রতী জেডিইউ ছাড়েন একদা নীতীশ ঘণীষ্ট দলের প্রাক্তন জাতীয় সভাপতি আরসিপি সিংহ। মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি সত্তেও তাঁকে তাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করেন মোদি-শহরা। প্রতিবাদে মোদির মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন জেডিইউ সাংসদরা। এমনকি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকেও যোগ দেননি নীতিশ কুমার। তখন থেকেই জল্পনা চলছিল। আজ তাতেই সিল মোহর দিলেন নীতীশ, ছাড়লেন পদ্ম শিবির। ২০২০ সালের ভোটের নিরিখে বিহারে একক বৃহত্তম দল আরজেডির আসন সংখ্য়া ৭৫, বিজেপি জেতে ৭৪টি আসনে। তিন নম্বর হিসাবে নীতীশ কুমারের জেডিইউ পায় ৪৩টি আসন। কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ১৯টি আসন। এছাড়াও লিবারেশন নেতৃত্বাধীন বাম বিধায়ক আছেন ১২ জন। ফলে বিধানসভায় ফের সংখ্যা গরীষ্ঠতা প্রমান দিতে নীতীশ কুমারের কোনো অসুবিধা হবার কথা নয়।
0 Comments