নিজস্ব প্রতিনিধি , ৪ সেপ্টেম্বর, কলকাতা : ইমামি ইস্টবেঙ্গলের মুম্বই এফসির বিরুদ্ধে জয়ের পরেই তাঁদের ষষ্ঠ বিদেশি জর্ডন ও’ ডোহার্টি চলে এলেন কলকাতায় । আগেই ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছিল যে ডুরান্ড শেষ হওয়ার আগেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন সব বিদেশিরা। পরিকল্পনা মাফিক ক্লাবের সকল বিদেশি ফুটবলার ডুরান্ড শেষের আগেই উপস্থিত হলো শিবিরে। ডুরান্ড অভিযান শেষ এবার পূর্ণ উদ্যমে আইএসএল-এর প্রস্তুতি নিতে শুরু করবে লাল-হলুদ কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন।শনিবার সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে রাত ১০.৩৫ মিনিটে দমদম বিমানবন্দরে নামবেন ২৪ বছরের অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার।
সেন্ট্রাল মিডফিল্ড ছাড়া অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার এবং লেফট উইংয়েও খেলতে পারেন জর্ডন। অ্যাডিলেডের অনূর্ধ্ব– ২১ দলের হয়ে খেলা শুরু করেছিলেন । ২০১৬-১৭ মরসুমে অ্যাডিলেডের মূল দলের হয়েও খেলেছিলেন । এরপর ২০১৮-১৯ মরসুমে ওয়েস্টার্ন সিডনি ছাড়াও নিউক্যাসল-এর হয়ে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে । অস্ট্রেলিয়ার লিগে মোট ৮৬টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে এই ফুটবলারের। ক্লাব কেরিয়ারের মোট ৯১টি ম্যাচে ৪টি গোল করার পাশাপাশি ১টি গোল করেছিলেন তিনি। জানা গেছে, গত মরসুম চোটজনিত সমস্যায় ভুগেছে এই ফুটবলার। তবে এবার নিজের সেরাটা দিতে প্রস্তুত তিনি।ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে না পারলেও ইস্টবেঙ্গল এফসি তাদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসি-কে ৪-৩-এ হারিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে গেল, আর একটু প্রস্তুতির সময় পেলে নক আউট পর্বে ওঠার মতো দল ছিল তাদের।গত রবিবার কলকাতা ডার্বিতে যে ঝলক দেখা গিয়েছিল লাল-হলুদ বাহিনীর খেলায়, পাঁচ দিনের বিশ্রামে ও এই ক’দিনের প্রস্তুতিতে দল জেগে উঠেছে সেটা বোঝা যায় । কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা পাকা করে ফেলায় হয়তো মুম্বই সিটি এফসি-র খেলোয়াড়দের মধ্যে কিছুটা গা-ছাড়া মনোভাব দেখা যায়। এই সুযোগেই তাদের ঘুম ভাঙিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। আসন্ন আইএসএলের উদ্বোধনী ম্যাচে যদি এই ছন্দ বজায় রাখতে পারে তারা, তা হলে কেরালা ব্লাস্টার্সকে ঘরের মাঠে বেগ পেতে হতে পারে। স্টিফেন কনস্টানটাইনের দলের এই পারফরম্যান্স দেখে তারা হয়তো চিন্তায় পড়ে যাবে।
ডার্বির প্রথম এগারোয় তিনটি বদল করে এ দিন মাঠে নামে লাল-হলুদ বাহিনী। মহম্মদ রকিপ, সেম্বয় হাওকিপ ও ক্লেটন সিলভা নামেন যথাক্রমে ইভান গঞ্জালেজ, ওয়াহেংবাং লুয়াং ও লিয়ান্দ্রো ডস স্যান্টোসের জায়গায়।শনিবার চার ব্যাকে খেলা শুরু করে ইমামি ইস্টবেঙ্গল । যার ফলে মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ শুরু করেন অ্যালেক্স, শৌভিকরা।
0 Comments