নিজস্ব প্রতিনিধি : অর্শদীপ সিংয়ের ক্যাচ মিসটাই যেন এদিন ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল। সেইসঙ্গে বোলারদের অতিরিক্ত রান দেওয়া। বিরাট কোহলির ব্যাট হাতে অসাধারণ ইনিংস খেললেও শেষপর্যন্ত তার মূল্য রইল না। পাকিস্তানের কাছে সুপার ফোরে ৫ উইকেটে হেরে গেল টিম ইন্ডিয়া। রবীন্দ্র জাদেজার অনুপস্থিতিটা যে কতটা বড় পার্থক্য এদিন গড়ে দিয়েছিল সেটাও হয়ত টের পেল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ভারতকে হারিয়ে ফাইনালের যাওয়ার রাস্তাটা অনেকটা পাকা করে ফেলল পাকিস্তান শিবির।টস জিতে এদিন প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। এখনও পর্যন্ত এবারের এশিয়া কাপে যারা রান তাড়া করেছে, তারাই জয় পেয়েছে। সেই সমস্তকিছু হিসাব করেই বোধহয় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিততে হলে যে বড় রান করতে গবে ভারতকে, সেই কথা প্রথম থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন রোহিত শর্মাও। সেজন্য তো শুরু থেকেই এদিন আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। পাওয়ার প্লে-তে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এদিন সর্বোচ্চ রানও করেছিলেন তারা।যদিও রোহিত শর্মাকে এদিন ২৮ রানেই সাজঘরে ফিরতে হয়। এরপরই মাঠে আসেন বিরাট কোহলি। গোটা বিশ্ব এদিন তাকিয়ে ছিল তাঁরক দিকেইষ পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে এদিন বড় রানের ঝলক দেখতে চাইছিল সকলে। হলও সেটাই। সেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই প্রত্যাবর্তন হল বিরাট কোহলি। তাঁর ব্যাটে পরপর দুটো অর্ধশতরান এল। লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়ারা ফিরে গেলেও, বিরাট কোহলির চওড়া ব্যাটে ভর করেই বড়া রানের পথে এগিয়ে চলেছিল টিম ইন্ডিয়া। ৪৪ রানের বিরাট কোহলির ৬০ রানের ইনিংসটি এদিন সাজানো ছিল একটি ছয় ও ৪টি বাউন্ডারি দিয়ে। ভারত করে ১৮১ রান।
পাকিস্তানও এদিন শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক। যদিও বাবর আজমকে পাওয়ার প্লের মদ্যেই সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রবি বিষ্ণোই। কিন্তু ভারতের সামনে এদিন প্রধান বাধা ছিলেন মহম্মদ রিজওয়ান। তাঁর একের পর এক বড় শটই ক্রমশ ম্যাচ ভারতের হাতের বাইরে নিয়ে যেতে থাকে। হার্দিক পান্ডিয়া যিনি প্রথম ম্যাচে ভারতের জয়ের নায়ক ছিলেন, তিনি ব্যাটে যেমন শূন্য করেন তেমনই বোলিংয়েও চার ওভারে রান দেন ৪৪। যদিও তাঁর বলেই কিন্তু ১ ওভারে ৭১ রানে ফিরে যান মহম্মদ রিজওয়ান।
কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচ অনেকটাই ভারতের হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল। যদিও ভারতের সামনে একটা সুযোগ ছিল। রবি বিষ্ণোইয়ের বলে আসিফ আলির ক্যাচ অর্শদীপ মিস না করলে, ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতেই পারত। যদিও তা হয়নি। এক বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান।
0 Comments