ব্রেকিং নিউজ

6/recent/ticker-posts

ভাঙরে কারখানার গেটে তালা ঝোলানোর অভিযোগ আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে

 রাতারাতি কর্মহীন হয়ে পড়লো দেড় হাজার শ্রমিক

বিশ্বরূপ দে  : একদিকে রাজ্য জুড়ে দুর্গোৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা সকল মানুষ এবং অন্যদিকে রাতারাতি কর্মহীন হয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের করাল গ্রাসের শিকার হলেন প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক ।

  ঘটনা ভাঙরের । একটি নামী কোম্পানির জুতো তৈরির কারখানার গেটে বলপূর্বক তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও তার দলবল । এমনই অভিযোগ করেছেন ভাঙরের আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী । এর ফলে কার্যত কর্মহীন পড়েছে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক । 

  এপ্রসঙ্গে এক বিবৃতি জারি করে সিদ্দিকী বলেন,"ভাঙড়ের বুকে শিক্ষা সংস্কৃতি এবং শিল্প বিপ্লব ঘটানোর স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে এসে ছিলাম । ভাঙড়ের সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে কঠিন পরিস্থিতি, কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে ভাঙড়কে একটি জায়গায় দাঁড় করানোর মরিয়া চেষ্টা বরাবরই করে চলেছি । যদিও ভাঙড়ের মাটিকে বারবার কলুষিত করছে আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদের মতো শাসকদলের একশ্রেণীর নেতারা । যে শাসক দলের নেত্রী তথা রাজ‍্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ‍্যে শিল্প আনতে কয়েকশো কোটি টাকা ব‍্যয়ে শিল্প সম্মেলনের আয়োজন করেন । সেই দলেরই বাহুবলি নেতারা শিল্প তাড়াতে সিদ্ধহস্ত । গোটা রাজ্য জুড়ে যখন উৎসবের আমেজ, সেই সময় ভাঙড়ের বুকে একটি নামী কোম্পানির জুতোর কারখানার গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম সহ তার দলবল । যার ফলে পুজোয় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এক থেকে দেড় হাজার শ্রমিক । রাজ‍্য তথা 'আমার' ভাঙড়ে শিল্পের উপরে শাসকের দাদাগিরিতে অতিষ্ঠ শিল্পপ্রতি থেকে শ্রমিকরা । এমনকি পুলিশ প্রশাসনও শাসকের চোখরাঙ্গানিতে ভীত সন্ত্রস্ত । ভাঙড় থানার পুলিশ পর্যন্ত ঐ কারখানার আশেপাশে ঘেঁষতে পারছে না । এটা কোন বাংলা ? ভাঙড়ে শিল্পের পরিবেশ সৃষ্টি করতে বেশ কয়েকজন বস্ত্র ব‍্যাবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম । ইতিমধ্যে তাঁরা ভাঙড়ে কারখানা তৈরি করতে সম্মতও হয়েছিল । ভাঙড়ের প্রচারিত হানাহানির খবরে তাঁরা প্রথমে ভয় পেয়েছিলেন, কিন্তু আমি তাদেরকে আশ্বস্ত করলে তাঁরা রাজি হয়েছিলেন । কিন্তু নতুন করে এমন গুণ্ডামির খবর তাঁদের গোচরে এলে তাঁরা কি ভাঙড়ে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসবেন ? তাঁরা কারখানা করলে ভাঙড়ের কয়েক হাজার বেকার যুবক যুবতীর কর্মসংস্থান হত । বর্তমানে শিল্পপতিদের উপরে যেভাবে আঘাত নেমে আসছে, আরাবুল বাহিনীদের দাপট দিন দিন যেভাবে বেড়ে যাচ্ছে, তাতে শুধু শিল্প নয়, ভাঙড়ের বুকে সাধারণ মানুষও তাদের বসবাস করার অধিকারটুকুও হারিয়ে ফেলবে বলে আমি আশঙ্কা প্রকাশ করছি । আইনের উর্ধ্বে কেউই নয়, কোনও আইন বহির্ভূত কিছু ঘটলে তার জন্য পুলিশ-প্রশাসন আছে । কোনও রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না"।

  অবিলম্বে এসবের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আগামীদিনে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে ভাঙর এবং তার সম্পূর্ন দায়ভার শাসকদলকেই নিতে হবে বলে মনে করেন বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী ।

Post a Comment

0 Comments