নিজস্ব প্রতিবেদক : গার্ডেনরিচের পর এবার কোটি কোটি টাকা উদ্ধার শিবপুর থেকে। শিবপুরের ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডের বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ ২ কোটি টাকা উদ্ধার করে।
শিবপুরের বাসিন্দা শৈলেশ পান্ডের বাড়িতে এভাবে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এত টাকা কোথা থেকে এলো?
একটি বেসরকারি ব্যাংকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নামে কলকাতা পুলিশ। একটি সরকারি ব্যাংকের অভিযোগ ছিল হঠাৎ করে শৈলেশ পান্ডের ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা বেআইনিভাবে লেনদেন । গত ১৪ তারিখ অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। সেইমত ১৫ তারিখ শিবপুরে ব্যবসায়ী শৈলেশ পান্ডের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় একটি গ্যারাজে থাকা গাড়ির মধ্যে থেকে দু কোটি টাকা ক্যাশ উদ্ধার হয়। এবং বহু বহু মূল্যের স্বর্ণালংকার উদ্ধার হয়েছে । পুলিশ সূত্রে খবর ওই ব্যবসায়ের দুটি ব্যাংক একাউন্টে আরও কুড়ি কোটি টাকার হদিস পেয়েছেন তারা। শৈলেশ পান্ডের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
ইতিমধ্যে বেআইনি টাকা উদ্ধারকে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে এভাবে টাকা উদ্ধার থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার একশ্রেণীর মানুষের কাছে বেআইনিভাবে টাকা কুক্ষিগত হয়ে রয়েছে। রাজ্যের সাধারণ মানুষের হাতে টাকা নেই। এই জন্যই কি জিএসটির বিরোধিতা? এই জন্যই কি নোট বন্দির বিরোধিতা? মধ্যষত্বভোগীদের জন্য কৃষকরা সুবিধা পাচ্ছে না। মধ্যস্বত্বভোগী এবং দালালরা রাজত্ব করছে।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কালো টাকা উড়ছে, যে যেভাবে পারছে ধরার চেষ্টা করছে। বাইরের মানুষের কাছে আমাদের মাথার নিচু হয়ে যাচ্ছে।
তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, বাজারে এরকম প্রচুর কালো টাকা রয়েছে। হঠাৎ করে নোট বন্দির কারণে বিভিন্ন মানুষের কাছে এভাবে কালো টাকা রয়েছে। এবং এই কালো টাকা দিয়ে বিজেপি সাংসদ বিধায়ক কেনাবেচা করছে।
একের পর এক এভাবে টাকা উদ্ধার কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক জল্পনা রয়েছেই। রাজনৈতিক সচেতন মানুষের প্রশ্ন, একের পর এক এভাবে টাকা উদ্ধারের পরে আরও বেআইনি টাকা রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে সতর্ক হবেন কি পুলিশ ? এত কোটি কোটি টাকা এর উৎস কি?
0 Comments