নিজস্ব প্রতিনিধি , সিউড়ি, ১৭ নভেম্বর ঃ নিকট আত্মীয়ের মারধর এবং পুলিশি অমানবিকতায় দুই মাসের ভ্রূণ নষ্ট হল এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার। ওই মহিলাকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ পুলিশের অমানবিক অত্যাচারের কারনেই নষ্ট হয়েছে অন্তঃসত্ত্বার ভ্রূণ।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার বিরাজপুর গ্রাম। ১৪ নভেম্বর দুপুরে ওই গ্রামে নিশীথ রবিদাস সঙ্গে কাকা তপন রবিদাসের সঙ্গে মারধর হয়। ভাইপোর মারধরে মাথা ফাটে তপন রবি দাসের। ওই ঘটনায় নিশীথের স্ত্রী মমতা রবিদাস সহ চারজনকে গ্রফতার করে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। অভিযোগ মহিলা পুলিশ ছাড়াই মহম্মদ বাজার থানা মমতাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। সারা রাত অমানসিক অত্যাচার করে। গ্রেফতারের পরদিন সিউড়ি আদালতে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান মমতা। কিন্তু তারপর থেকেই পেতে ব্যথায় ভুগতে থাকেন। বৃহস্পতিবার সকালে অন্তঃসত্ত্বাকে বধূকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের দাবি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অন্তঃসত্ত্বার ভ্রূণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
নিশীথ রবিদাসের অভিযোগ পুলিশের অত্যাচার এবং তপন রবিদাসের আক্রমণে মারধরেই স্ত্রীর ভ্রূণ হয়েছে। নিশীথের আইনজীবী সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে ওই অন্তসত্ত্বা মহিলাকে গ্রেফতার করেছিল। তার চার বছরের শিশুকেও থানায় নিয়ে যায়। ওই মহিলাকে গ্রেফতারের সময় কোন মহিলা পুলিশ ছিল না। এমনকি মহিলার সঠিক ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়নি। তবে সিউড়ি আদালতের এসিজেম মহিলার সমস্ত কাগজ দেখার পর জামিন মঞ্জুর করেন। তবে অন্তঃসত্ত্বা ভ্রূণকে বাঁচানো গেল না। আমরা প্রতিবেশী পরেশ চন্দ্র দাস এবং তপন রবিদাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছি। সেই সঙ্গে পুলিশের অবহেলারও অভিযোগ করা হচ্ছে”।
মুলত বাড়ির পাচির দেওয়াকে কেন্দ্র করেই পারিবারিক বিবাদের সৃষ্টি হয়। বাড়ির পাশে নিকাশিনালার জল বের করা নিয়ে ১৪ নভেম্বর দুপুরে ঝামেলা হয়। নিশীথের অভিযোগ ভাইঝি স্নান করছিল। সে সময় তপন প্রাচীর লাগোয়া নিকাশি নালার জল বের করতে যায়। সে সময় বাথরুম থেকে চিৎকার শুরু করে বোন। এনিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মারধর শুরু হয়। অভিযোগ মারধর করা হয় মমতাকেও। ওইদিনই মমতার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। কিন্তু পুলিশ তাঁর চিকিৎসা ব্যবস্থা না করেই তাকে গ্রেফতার করে থানায় রেখে দেয়। তাতেই অন্তঃসত্ত্বার ভ্রূণ নষ্ট হয়।
0 Comments